গুজরাটের ভেরাওয়াল উপকূলের ৩৭০ কিলোমিটার বা ২০০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে একটি ট্যাঙ্কার জাহাজে ড্রোন হামলার খবর মিলেছিল শনিবার। রবিবার মার্কিন সেনা জানাচ্ছে, ইরান থেকে ড্রোনটি ছোঁড়া হয়। ড্রোন হামলার ফলে জাহাজটিতে আগুণ ধরে যায়। যদিও কোনওক্রমে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন জাহাজের নাবিকরা। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনীর জাহাজ। আকাশ পথেও নজরদারি চালানো হয়।
রবিবার বিবিসি’র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘‘ পেন্টাগনের তরফে আক্রান্ত ট্যাঙ্কারটির নাম জানানো হয়েছে ‘কেম প্লুটো। জাহাজে আফ্রিকার লাইবেরিয়ার পতাকা রয়েছে। কিন্তু সেটির মালিক নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা। ইরান থেকে ছোঁড়া ড্রোন এই জাহাজে হামলা চালিয়েছে।’’
যদিও একাধিক প্রতিষ্ঠানের দাবি, কেম প্লুটোর মালিক ইজরায়েলী একটি সংস্থা।
ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, আক্রান্ত জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে মার্কিন সেনা। জাহাজটি সৌদি আরব থেকে জ্বালানী ভরে ভারতের একটি বন্দরে যাচ্ছে।
২৩ ডিসেম্বর দুপুরে আরব সাগরে কেম প্লুটোর উপর হামলার খবর সামনে আসে। প্রাথমিক ভাবে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। কিন্তু রবিবার আমেরিকা দাবি করছে, হাউথিরা নয়, বরং তাঁদের মদতদাতা ইরান এই হামলা চালিয়েছে।
এই প্রথম সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনল মার্কিন প্রশাসন।
বিবিসি জানাচ্ছে, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরা হামাসকে সমর্থন জানায়। হাউথিরা দাবি করে, ইজরায়েল আগ্রাসন বন্ধ না করলে লোহিত সাগরে ইজরায়েলী পণ্য পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
সেই মত লোহিত সাগরের ইজরায়েলী বন্দরগামী, কিংবা সেখান থেকে ফেরা পণ্যবাহী জাহাজে মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালায় হাউথিরা। ইজরায়েলী মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটকও করে হাউথি নৌবাহিনী। হাউথি হামলার ফলে লোহিত সাগর দিয়ে পণ্য পরিবহণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্ত পণ্যবাহী জাহাজ দক্ষিণ আফ্রিকা উপকূল ঘুরে যাত্রা করছে। কিন্তু সেই পথও যে নিরাপদ নয়, তা প্রমাণিত হল শনিবারের হামলায়।
Comments :0