PATANJALI

কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা, আদালত অবমাননার নোটিশ পতঞ্জলির বিরুদ্ধে

জাতীয়

PATANJALI RAMDEV SUPREME COURT BENGALI NEWS সুপ্রিম নির্দেশে বেকায়দায় যোগগুরু রামদেবের সংস্থা

যোগগুরু রামদেবের মালিকানাধীন সংস্থাকে আড়াল করছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। 

রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি একের পর এক মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করে বলেছে,‘‘কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।’’

একইসঙ্গে আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশ অগ্রাহ্য করে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়ার জন্য পতঞ্জলিকে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এহসানউদ্দিন আমানুল্লার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, ‘‘বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে পতঞ্জলিকে টিভি এবং খবরের কাগজে চলা সমস্ত ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ভেষজ ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর বিভ্রান্তিকর প্রচার করে আসছে পতঞ্জলি। সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপনগুলিতে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমী চিকিৎসা ব্যবস্থা আসলে দাবি করা হয়েছে, গোমূত্র ইত্যাদির ব্যবহারে দূরারোগ্য অসুখ সারানো সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। 

এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। অভিযোগ করা হয়, ‘‘পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের কসাইয়ের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। আয়ুর্বেদিক পণ্যের প্রচারে অ্যালোপ্যাথি সম্পর্কে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও অবমাননাকর মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অথচ এই প্রচারের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’’

আদালতে আইএমএ’র আইনজীবী বলেছেন,‘‘চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে। বলা হয়েছে চিকিৎসকরা নিজেরা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারের পরেও মারা গিয়েছেন। এর থেকেই প্রমাণ হয় অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ভুল।’’

এরপরেই আদালত পতঞ্জলির আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনগুলির প্রচার বন্ধ করতে হবে। 

প্রসঙ্গত,২০২৩ সালের নভেম্বর মাসেও সর্বোচ্চ আদালত পতঞ্জলিকে ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়নি। তারফলেই এদিন আদালত অবমাননার নোটিশ গিয়েছে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণের কাছে। 

 

Comments :0

Login to leave a comment