জেলে বসেই বন্দিদের বাড়িতে ফোন করে তোলা বাজির অভিযোগ হাওড়া শংশোধনাগারের দুই বন্দির বিরুদ্ধে। হাওড়ার সাঁকরাইল নাজিরগঞ্জের ঔষধ ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাস। গত ৮ এপ্রিল নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ দাসকে। পরেরদিন তাকে হাওড়া জেলে পাঠায় আদালত। জেলে গেলেই হেনস্থার শিকার হন অভিজিৎ দাস। জেল থেকেই ফোন করে টাকা চেয়ে তার বাড়িতে ফোন করে দুস্কৃতীকারীরা। দফায় দফায় টাকা চেয়ে জেল থেকে দুস্কৃতিকারীদের ফোনে হুমকি শুনতে হয় ব্যবসায়ীর ভাই জিৎ দাসকে। কিভাবে জেলের ভিতরে দুস্কৃতিকারীরা ফোন ব্যবহার করছে ও জেলের ভিতরে থাকা বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে জেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে দীর্ঘদিন বন্দি রয়েছেন মহম্মদ আক্রম ও মুন্না ভানু নামে দুই দুস্কৃতী। অভিযোগ এরাই অন্যান্য বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে তোলাবাজি করে। সংশোধনার সূত্রে জানা গেছে মহম্মদ আক্রম একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিন বছর ধরে জেলে রয়েছেন। অপরজন মুন্না ভানু পসকো আইন সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে চার বছর জেলবন্দী। অভিযোগ মুন্না ভানু ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাসের বাড়িতে টাকা চেয়ে ফোন করে। টাকা না পেলে ব্যবসায়ীকে হেনস্থার হুমকি দেয়। অভিযোগ টাকা নেবার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় লোক পাঠানোর কথা বলেন মুন্না ভানু। ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে ফোনে বলা হয় পুলিশ ঔষধের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্কের একাউন্ট শিল করে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি একাধিক ইউপিআইতে টাকা পাঠানো হয়েছে। দফায় দফায় ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী পরিবারের। টাকা দেওয়া হয়েছে এক মহিলা সহ বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাঙ্ক একাউন্টে। জেলের মধ্যে ফোন ব্যবহার করা সম্ভব নাকি জেলের ভিতরে নজরদারির অভাব রয়েছে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশের তদন্তকারীরা।
Howrah
জেলে বসেই তোলা বাজির অভিযোগ

×
Comments :0