Rahul Gandhi

আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটে আবেদন রাহুলের
সাথে রয়েছে প্রিয়াঙ্কা এবং তিনজন মুখ্যমন্ত্রী

জাতীয়

২০১৯ সালের মানহানির মামলায় তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং দুই বছরের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে সোমবার সুরাটের বিশেষ আদালতের দারস্থ হবেন কংপ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুল একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় সুরাটের আদালত তাঁকে দুবছরের জেল হেপাজতের সাজা দেয়। সেই সাজা বাতিলের আবেদন করবেন রাহুল। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। রাহুলের আবেদন মেনে আদালত যদি রায়ের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় তবে লোকসভায় খারিজ হওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারে রাহুল।


কংগ্রেস সূত্রে খবর রাহুলের সাথে আদালতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভুপেশ বাঘেল ও শুখবিন্দর সিং শুখু। রাহুলের আবেদন এবং সঙ্গে করে বোন প্রিয়াঙ্কা এবং তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে করে আদালতের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে শিশু সুলভ আচরন বলে কটাক্ষ করেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইটারে লিখেছেন, ‘‘রাহুল গান্ধী হয়তো সুরাট আদালতের রায়কে চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে আবেদন করতে সুরাটে যাচ্ছেন। আপিল করার জন্য একজন অভিযুক্তকে ব্যক্তিগত ভাবে যেতে হয় না। সাধারণত, কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিগত ভাবে যায় না। তাঁর সাথে থাকা নেতা ও সহযোগীদের একটি দলের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যাওয়া শুধুমাত্র একটি নাটক।’’ 
‘‘রাহুল গান্ধী যা করছেন তা আপিল আদালতের ওপর চাপ তৈরি করার জন্য একটি শিশু সুলভ প্রয়াস। দেশের সমস্ত আদালত এই ধরনের কৌশল থেকে মুক্ত।’’ অন্য একটি টুইটে একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।


যদিও কংগ্রেস বিজেপির কথাকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে জানিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে গিয়ে রাহুল কোন শক্তি পদর্শন করছেন না। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন যে, তিনজন মুখ্যমন্ত্রী রাহুলের প্রতি নিজেদের নৈতিক সমর্থন জানানোর জন্য আদালতে হাজির হয়েছেন।


২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ললিত মোদী, নীরব মোদী যারা অর্থীক দুর্নীতির দায় অভিযুক্ত তাদের প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেন যে, ‘সব চোরদের পদবি মোদী।’ কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য একটি সম্প্রদায়কে অপমান করে বলে আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক বিজেপি নেতা। সেই মামলায় সুরাট আদালত রাহুলকে দুবছর জেল হেপাজতের সাজা দেয়। আদালের রায়ের পর একমাস জামিনের আবেদন করলে রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। যা অনৈতিক বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।

Comments :0

Login to leave a comment