Shootout

গোয়ালপোখরে গুলিতে খুন তৃণমূল প্রধান

জেলা

Shootout

প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীকারীরা। নিহত প্রধানে নাম মহম্মদ রাহি। য়ুধবার ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপুকু থানা এলাকা পাঞ্জিপাড়ার জনবহুল এলাকায়। তিনি পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ছিলেন। ওই প্রধান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান মহম্মদ রাহিকে দিনে-দুপুরে জনবহুল এলাকায় কারা গুলি কলো তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বের হন। সেই সময় দুটি বাইকে দুষ্কৃতীকারীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে হেলমেট দিয়ে মুখ ঢেকে অপেক্ষা করছিল তিনি পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরোনো মাত্রই তাকে গুলি করা হয়। সেখানে দুই রাউন্ড গুলি চলে কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। তারপর প্রধান সাহেব পাঞ্জিপারা কলোনি মোড় এলাকায় পৌঁছান। তাঁকে পিছন থেকে তাড়া করছিল ওই দুষ্কৃতীকারীরা। সেখানে ব্লাক পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তাঁর হাতে ও পেটে গুলি লাগে বলে জানা গেছে। তারপর দুষ্কৃতীরা দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। গুলি লাগার পর ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন প্রধান। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কিশানগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা নির্দেশ দেন কর্তব্যত চিকিৎসকেরা। তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান বলে জানা গেছে তৃণমূল সূত্রে।


এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ৩১ নম্ব জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সামিল হয়। জানা গেছে , তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মোহাম্মদ রাহি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি আগে কংগ্রেস কতেন। ২০১৩ সালে তার স্ত্রী ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ছিলেন। গতবার তিনি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান ছিলেন। এবার তিনি প্রধান হয়েছেন। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলে দাবি, দীর্ঘদিন থেকে তিনি রাজনীতি সাথে যুক্ত থাকার কারণে তার শত্রু থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাই মাসুল গুনতে হয় প্রাণ দিয়ে। তাদের বক্তব্য কারো শত্রু না থাকলে এভাবে গুলি গুলি কতে পারে না। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান শান্তি রঞ্জন মৃধা জানান , প্রধানের তেমন কোনো শত্রু রয়েছে বল আমা জানা ছিল না। আর পাঞ্জিপাড়াতে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনে ঘটনা ঘটবে তা আমরা কোনদিন কল্পনাও কতে পারিনি। আমরা পুলিশ প্রশাসনে কাছে দাবি রাখছি ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগওয়াল রায়গঞ্জ থেকে ফেরার পথে খবর পান এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি জানান , দুষ্কৃতীরা পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। তার মধ্যে তিনটি কার্তুজ এক জায়গা থেকে উদ্ধা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে দুটি গুলি চলে। কারা ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে পুলিশ তদন্ত কছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তদন্ত কছে। 

এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক জানান, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে তার প্রমাণ আমরা হাতেনাতে পাচ্ছি। আমরা বহুদিন থেকেই জেলায় আগ্নেয়াস্ত্রে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপে দাবি জানিয়েছি। দুষ্কৃতীদে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন তিনি। এই গুলি কান্ডের পিছনে কোন হস্য লুকিয়ে য়েছে তা উদঘাটনের দাবি তোলেন তিনি। তিনি আরো বলেন , এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কতে প্রয়োজনে পথে নামতে তৈরি বামেরা। ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিছে।


 

Comments :0

Login to leave a comment