টেট পরীক্ষা চলাকালীন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল প্রশ্নপত্র। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জলপাইগুড়ি জেলার টেট পরীক্ষার্থীরা। যদিও এমন কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে সাফাই দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল চন্দ্র রায়।
এই বছর জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৬৪১৪ জন টেট পরীক্ষার্থী জেলার ২২ টি কেন্দ্রে টেট পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হন। অনেক ট্রেনিং প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা এই বছর টেট পরীক্ষায় বসেননি। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে তারা রাজ্য সরকারের টেট পরীক্ষার প্রক্রিয়ার উপর আস্থা হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিতে এদিন দেখা যায় কড়া পুলিশের প্রহরা। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের চেকিং করার দায়িত্বে ছিল বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। যারা পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক, ফেস চেকিং এবং অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখার পরে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেন।
এত কিছুর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে শুনে হতাশ পরীক্ষার্থীরা। তাদের প্রশ্ন, ‘‘এত সিকিউরিটি, এত পুলিশ এত কিছু করে সরকার কেন প্রশ্নপত্র সুরক্ষিত রাখতে পারছে না? কেন বেকার যুবকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে? লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি যদি বিক্রি হবে তাহলে পরীক্ষা নেওয়ার মানে কি?’’
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এবছর জলপাইগুড়ি জেলার পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করবার জন্য জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সহায়তা ক্যাম্প করা হয়।
জলপাইগুড়ি শহরের শান্তিপাড়া বাস স্ট্যান্ড,কদমতলা মোড়, পার্কের মোড় , দেবনগর,মোহিতনগর ক্যাম্পে সকাল ৭:৩০ মিনিটে থেকে সংগঠনের সদস্যরা সহায়তা দেওয়ার জন্য উপস্থিত হন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে এবিপিটিএ জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা জানান, সরকার স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করতে ব্যর্থ। বারবার টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। এবারের টেট পরীক্ষায়ও পরীক্ষা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারের উচিত ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’’
Comments :0