গোটা বিশ্ব জুড়েই ছায়া যুদ্ধ লড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবং এই যুদ্ধের জন্য নানা ‘কিলার স্কোয়াড’ বা খুনে বাহিনী তৈরি করেছে পেন্টাগন। এই বাহিনীগুলিকে নিয়মিত তালিম দিয়ে থাকে আমেরিকার স্পেশাল ফোর্স। কিন্তু এই খুনে বাহিনীর সদস্যদের বিগত দিনে কোনও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করে না মার্কিন প্রশাসন। তারফলে ধর্ষণ, নারী নিগ্রহ সহ বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজে অভিযুক্তদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে মার্কিন সেনা।
রবিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য। মূলত সন্ত্রাসবাদ বিরোধীতার নামে এই প্রকল্প চালানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে থাকে মার্কিন স্পেশাল ফোর্স।
একাধিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, প্রথাগত ভাবে সামরিক অভিযান চালালে নানাবিধ আন্তর্জাতিক বিধি নিষেধের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই সময় ব্যবহার করা হয় এই জাতীয় খুনে বাহিনীকে। ’শত্রু’ দেশে ঢুকে ‘টার্গেট’কে হত্যা করা, কিংবা তাঁকে বন্দী করে সীমান্ত পেরিয়ে ফিরে আসাই এই জাতীয় বাহিনীর কাজ। একইসঙ্গে শত্রু দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেও এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই বাহিনীর সদস্য বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে বিস্তর গলদ। তারফলে মানবতা বিরোধী অপরাধের রেকর্ড থাকা ব্যক্তিদেরও বিশ্বমানের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের নব্য ফ্যাসিবাদী সরকারের খুনে বাহিনীকেও তালিম দিয়েছে আমেরিকার স্পেশাল ফোর্স। আর সেই প্রশিক্ষণে বলীয়ান হয়েই পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রুশ ভাষাভাষী মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে ইউক্রেনের এই বাহিনী। পুরোদমে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরেও রাশিয়ার একাধিক বুদ্ধিজীবীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এই বাহিনীগুলির বিরুদ্ধে।
Comments :0