দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
করোনা পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বন্ধ করা হয়েছিল ভুটানের সঙ্গে লেনদেন। উঁচু তারের বেড়ায় বাধা পেয়ে ভেঙে পড়ছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার আর্থ সামাজিক বন্দোবস্ত।
জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানার অধীন ভুটান সীমান্ত গ্রাম জিটি ভুটানের গোপাল লাইন। এই জায়গা দিয়েই দু’দেশের অতি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ বজায় থেকেছে দশকের পর দশক। মেলামেশা থেকে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কেনাবেচা।
করোনার সময় প্রথম বন্ধ হয় যোগাযোগ। বন্ধ হয় ব্যবসা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ফিরোজ বলছেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম পরে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না, উল্টে ২০২২ সালে ভুটান সরকার প্রথমে তাদের জমিতে থাকা নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। দু’দেশের সীমান্তে বহুদিনের বাঁশের ফটকটি তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে দশ ফুট উচ্চতার তারের বেড়া এবং প্রাচীর তুলে দেয়।’’
আজও এই জিটি ভুটান সীমান্ত গ্রামের কুড়িটি পরিবারের পাশাপাশি, নাগরাকাটা, ব্লকের জিটি এবং হোপ চা বাগান সহ প্রায় সাত হাজার মানুষের আর্থ সামাজিক কাটামো দুর্বল হয়ে পড়ছে প্রতিদিন।’’
ভুটান এবং ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েক বার সীমান্ত গ্রাম জিটি ভুটান গোপাল লাইন পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
ভুটান সরকারের কাছে এলাকাবাসীরা এই গেট খুলে ব্যবসায়িক লেনদেন চালু করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে আজও অবস্থা বদলায়নি। বাসিন্দারা এ ব্যাপারে বিডিও-কে স্মারকলিপি দিলেও কোনও কাজ হয়নি।
প্রয়োজনে দশ মিটার সরে আসতেও রাজি বাসিন্দারা। যাতে ভারত সরকারের নিরাপত্তা, শুল্ব বা অন্যান্য বিভাগ নিজেদের পরিকাঠামো গড়তে পারে। তবে তারপরও প্রশাসনিক স্তর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
BHUTAN VILLAGE
বাঁশের ফটক বদলে উঁচু তারের বেড়া, বিপন্ন ভুটান সীমান্তের গ্রাম
×
Comments :0