TMC Frauad Suicide

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা তৃণমূল নেত্রীকে, ফেরত না পেয়ে আত্মঘাতী পঞ্চায়েত সদস্যা

রাজ্য

নিয়ম ভেঙে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা ধার দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীকে। অভিযোগ, সেই টাকা ফেরত না পেয়ে চাপে আত্মঘাতী তৃণমূলী পঞ্চায়েত সদস্যা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানা এলাকার উলুবেড়িয়া ১নং ব্লকের হাটগাছা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর মাইতিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কল্যাণী মাইতি।  তিনি ঐ এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। পাশাপাশি স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ‘স্বাগতম’ নামে একটি দলের গ্রুপ লিডার। 
যার বিরুদ্ধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তার নাম অপর্ণা দাস। তিনি এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি, হাটগাছা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ‘মিলন সঙ্ঘের’ সভানেত্রী। যার অধীনে ‘স্বাগতম’র মতো দু’শোর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে বলে জানা গেছে। 
এদিন সকালে কল্যাণী মাইতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তিনি একটি দু’পাতার সুইসাইড নোটে অপর্ণা দাসকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ গ্রামে ফিরলে তাঁর শেষকৃত্য করতে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। তাঁরা অপর্ণা দাসের বাড়িতেও চড়াও হয়। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এলে মৃতদেহ শেষকৃত্য করা হবে বলে জানায় গ্রামবাসীরা। পরে বিক্ষোভ উঠে যায়। ঘটনাস্থলে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ও র্যাৃফ। অপর্ণা দাস পলাতক।
‘স্বাগতম’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কোষাধ্যক্ষ মুক্তা দলুই জানিয়েছেন, আমাদের গ্রুপটি ৭-৮ বছর আগে হয়েছে। গ্রুপটি ভালোই চলছিল। হাটগাছা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ‘মিলন সংঘের’ সভানেত্রী অপর্ণা দাস। ওদের অধীনে প্রায় ২০০-র বেশি গ্রুপ  আছে। আমাদের গ্রুপের গ্রুপ লিডার ছিল কল্যাণী মাইতি। ক’দিন আগে থেকে টাকা নেওয়ার খবরটা কানে আসে। এরপর থেকে আমরা দিদিকে বলতে থাকি, আমাদের হিসাবটা কী হবে। কল্যাণী আজ নয়, কাল করতে থাকে। আমাদের কিছু করার নেই গ্রুপের টাকা কম পড়লে তার খেসারত আমাদেরই দিতে হবে। সোমবার কল্যাণী আমাকে বলে, পুজোর হিসাবে বসবো। তারপরই আজ ঘটনা ঘটে যায়। আমরা চাই, যারা এই টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় যুক্ত তাদের শাস্তি হোক।
স্থানীয় এক ব্যাঙ্কের সিএসপি রৌসনারা খাতুন বলেন, কয়েকদিন আগেই ‘মিলন সঙ্ঘের’-কে ৬৫লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। তারও কোনও হিসাব নেই বলে আমার মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, কল্যাণী মাইতির মৃত্যুর খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের ‘মিলন সঙ্ঘের’ অধীনে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা জড়ো হতে থাকেন। তাঁদেরও অভিযোগ, তাঁদের গ্রুপ থেকেও অপর্ণা দাস এই ভাবে টাকা নিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment