দীপশুভ্র সান্যাল
সোমবার সকাল সকাল ধুন্ধুমার কাণ্ড ডুয়ার্সের চা বাগানে। একটি গাছের মগডালে চিতাবাঘ। আতঙ্কে চা বাগানের শ্রমিকরা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানাবাড়ি চা বাগানে।
জানাগেছে, চেল নদীর পশ্চিম পারে থাকা এই চা-বাগানে গত কয়েক বছর ধরে চিতাবাঘের উপদ্রব রয়েছে। বনকর্মীরা আগেও খাঁচা পেতে চিতাবাঘ ধরেছে। তবুও চিতাবাঘের উপদ্রব কমেনি। এমনটাই জানিয়েছেন সেখানকার মানুষজন। তাদের অভিযোগ মাঝে মধ্যে শ্রমিক মহল্লায় হানা দিয়ে ছাগল, শুয়োর টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। যে কারণে আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যেই কাটছিলো দিনরাত। এদিন সকালে শ্রমিকরা চা বাগানের সিএম ১৪ নম্বর সেকসনে পাতা তোলার কাজে যায়। হটাৎ তাদের নজরে আসে চা বাগানের নালার মধ্যে তিনটি চিতাবাঘ ঘাপটি মেরে আছে। একসাথে তিনটি চিতাবাঘ দেখে শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করে। শ্রমিকদের সমবেত চিৎকার ও তাড়া খেয়ে দুই চিতাবাঘ পালিয়ে যায়। এক চিতাবাঘ গাছের মগডালে উঠে পড়ে। আতঙ্কের মধ্যেও মগডালে চিতা এই দৃশ্য দেখতে ভীড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু গর্জন থামে না চিতা বাঘের। খবর পেয়ে মালবাজার থেকে ছুটে আসে ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা। তাঁরা চিতাবাঘের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সেখানে ভিড় করে থাকা মানুষকে সরে যাবার আবেদন করে। দুপুর পর্যন্ত চিতাবাঘটিকে গাছের ডালেই থাকতে দেখা যায়। বনদপ্তরের কর্মীদের পর্যবেক্ষণ চলতে থাথে। বনদপ্তরের কর্মীরা জানান প্রয়োজন হলে ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা হবে।
গাছের উপরেই চিতা বাঘ বন দপ্তরের কর্মীরা পুরো এলাকার মানুষকে সড়িয়ে দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। সোমবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বন বিভাগের আধিকারিক জানান, মানুষের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে গাছের মগডালে চিতা বাঘটি উঠে পড়ে। জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা বন্য প্রাণ বিভাগের দ্বীজপ্রতিম সেন জানান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চিতা বাঘটিকে নজরে রাখা হয়েছে কাউকে যেন আহত না করে।
Comments :0