চলতি বছর মাধ্যমিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস হয়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। যা উদ্বেগের সঞ্চার করেছে শিক্ষা মহলে। এমন পরিস্থিতি তৈরীর কারন কি? উত্তর খুঁজতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সহযোগিতা চাইল সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার শান্তিনিকেতনের 'প্রতিচী' বাড়িতে অমর্ত্য সেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন অপর দুই রাজ্য কমিটির সদস্য গৌতম ঘোষ, শ্যামলী প্রধান। অমর্ত্য সেনের সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য মন্তব্য ও ভূমিকা বাংলার মানুষ ভালো ভাবে নিচ্ছে না৷ সেকথাই ভারতরত্নকে জানানো হয়৷ পাশাপাশি, এবছর মাধ্যমিকে ব্যপক ভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর কারন কি, জানতে অমর্ত্য সেনের পরামর্শ ও প্রতীচী ট্রাস্টের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কারন শিক্ষা বিষয়ক নানান কাজ করে থাকে অমর্ত্য সেনের 'প্রতীচী ট্রাস্ট'। প্রতীচী ট্রাস্ট শিক্ষার ব্যাপারে যে কারো চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও সতর্ক। ফলে ওঁনাকে আমরা বললাম, আমরাও খোঁজ নিচ্ছি, তবে আপনার প্রতীচী ট্রাস্ট আরও ভালো পারবে। ১১ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবার কমে হয়ে গেল ৭ লক্ষ। এতে বাংলার সর্বনাশ হচ্ছে৷ এর কারন সবাই মিলে খুঁজতে হবে। আর এতে আমরা ওনার গাইডেন্স চাই।"
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, "অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা হওয়াটা একটা বড় প্রাপ্তি। বিশ্বভারতী উপাচার্য অসভ্যের মত কাজ করছেন। বিশ্বভারতীর সম্মান নষ্ট করছেন। বাংলার সম্মান নষ্ট করছেন৷ উনি অমর্ত্য সেন সম্পর্কে এমন এমন মন্তব্য করেছেন যা অসম্মানজনক। আমরা ওনাকে জানালাম সারা বাংলার মানুষ উপাচার্য যা করছে বা বলছে তা ভালো ভাবে নিচ্ছে না।"
Comments :0