আবাস যোজনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও- র কাছে স্মারকলিপি দিলেন অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের সিপিআই(এম) পঞ্চায়েত সদস্য রুবিনা মুন্ডা।
সোমবার জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে করলাভ্যালি চা বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য রুবিনা মুন্ডা সদর ব্লকের বিডিও- র হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে যে অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানে বসবাসকারী নাগরিকদের বেশিরভাগই চা বাগান শ্রমিক। যাঁদের বাগানে কাজ নেই তাঁরা বাগানের বাইরে শ্রমিকের কাজ করেন। এই এলাকার প্রায় ২৩০টি পরিবারের বেশিরভাগের ঘর বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি। কিন্তু আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকায় মাত্র ৩৩ বাসিন্দার নাম রয়েছে।
রুবিনা বলেছেন, প্রায় প্রত্যেক পরিবারই আবাস যোজনায় ঘরের টাকা পাওয়ার আশায় রয়েছে। কিন্তু অনেকের নাম তালিকায় না থাকয় বাগান এলাকার শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্মারললিপিতে বলা হয়েছে যে দু’ বছর আগে সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সময় এই বঞ্চিত শ্রমিক পরিবারগুলি বাগান থেকে সদর ব্লকে এসে তৎকালীন বিডিও’র সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের তালিকাতেও তাঁরা বঞ্চিতই থেকে গিয়েছেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার সিপিআই(এম) নেতা গোবিন ওরাঁও, রেনুকা ওরাও, পার্টির এরিয়া কমিটির সদস্য শুভাশিস সরকার, আজম আলি আব্বাস, সানন্দ সরকার প্রমুখ।
রুবিনা বলেছেন, বহুদিন আগে করা বুথ এলাকার চড়কডাঙ্গি লাইন, ললিতপুর, ডাঙ্গা লাইন সহ সমস্ত সি সি রাস্তায় নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় রাস্তাগুলি ( সিমেন্টের তৈরি রাস্তা ) ভেঙে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে এই বুথ এলাকায় কোনো রাস্তার কাজ হয়নি।
Comments :0