তীব্র দাবদাহের হাত থেকে স্বস্তি পেতে নদীতে স্নান করতে নেমে নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিলিগুড়িতে দুটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। 
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিম ধনতলা এলাকার বাসিন্দা এক যবক বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেড়িয়ে নদীতে স্নান করতে নেমে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম কৌশিক ঘোষ। বয়স আনুমানিক প্রায় ২৫বছর। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের তারবান্ধা এলাকায় হুলিয়া নদীতে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। মৃত শিশুদের নাম সৌরভ মন্ডল (১২) ও সুপ্রিয়া দাস (১৩)।
বুধবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেড়িয়ে প্রচন্ড গরমে শিলিগুড়ি সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চল দুধিয়ার বালাসন নদীতেস্নান করার জন্য দুধিয়ায় যায়। আর স্নান করতে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিকেলে পরিবারের কাছে খবর আসে কৌশিকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় কৌশিকের কোন খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার দুধিয়ার পুলিশ এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপরেই মৃতদেহটি সনাক্ত করে মৃত যুবক কৌশিকের পরিবারের লোকজন। ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 
সৌরভ মন্ডল ও সুপ্রিয়া দাস বাগডোগরার নতুনপাড়া গোঁসাইপুরের বাসিন্দা। জানা গেছে, এদিন ওই দুই শিশু সহ ছয় জন হুলিয়া নদীতে স্নান করতে যায়। ছয়জন শিশুদের কেউই সাঁতার জানে না। এরপর জলে নেমে তলিয়ে যায় দুই শিশু। কোনরকমে বাকি চার শিশু নদী থেকে উঠে আসে। পরে শিশুরা স্থানীয়দের জানালে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে দুই শিশুকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া ও বাগডোগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই শিশুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশু দুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।