বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ সম্মান ‘গ্লোবাল হেলথ লিডার’ স্বীকৃতি আশা কর্মীদের জন্যই। কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্য তাঁদেরই প্রাপ্য মেটাতে উদাসীন। ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার মতো ১৬ দাবি নিয়ে জলপাইগুড়িত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দিলেন সিআইটিইউ অনুমোদিত আশা কর্মী ইউনিয়ন।
আশা কর্মীদের দাবি, ন্যূনতম মজুরি ২৬ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকা পেনশন। সামাজিক সুরক্ষার নিশ্চয়তার দাবিও জানানো হয়। করোনা মহামারীতে আশা কর্মীদের রাজ্য সরকার যে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা বলেছিলো তা এখনও পর্যন্ত অনেক আশা কর্মী পাননি। কাজের ভাতাও বকেয়া।
মৃত আশা কর্মীর পরিবারকে বিমার টাকা, পরিবারের একজনকে চাকরির দাবিও জানা তাঁরা। গত দু'বছর ধরে আশা স্বাস্থ্য কর্মীদের ইউনিফর্ম দেওয়া হচ্ছে না বলেও সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। সংগঠন জানিয়েছে, আশা স্বাস্থ্যকর্মীদের গভীর রাতে সন্তানসম্ভবা মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু তাঁদের না আছে সেখানে থাকার জায়গা, না থাকে ফেরার ব্যবস্থা। উপরন্তু হয়রানির শিকার হতে হয়।
ধূপগুড়ি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে আছে। অতি দ্রুত উন্নতমানের এক্স-রে মেশিন বসাবার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ক্রান্তি বানারহাট ব্লকে এখনো পর্যন্ত ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। ফলে এই ব্লকে আশা কর্মীরা এবং জনগণ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আশা কর্মীদের গুরুতর অভিযোগ, মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে এলেও অনেক সময় চিকিৎসকরা তাঁদের ছুটি করে দিচ্ছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পরবর্তীতে তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসব হচ্ছে। আশা কর্মীরা সমস্যায় পড়ছেন, পাশাপাশি গরিব মানুষ তার স্বাস্থ্য পরিবেশ পাচ্ছেন না। সেই বিষয়ও সোমবার তুলেছেন তাঁরা।
Comments :0