শহর সাজানোর অজুহাতে প্রায় ১৫০ জন হকারের রুজি-রুটি কেড়ে নিতে চায়ছে প্রশাসন। শাসকদলের মদতে এই চক্রান্ত রুখে দিতে বৃহস্পতিবার দুঃস্থ গরিব হকার’রা সিআইটি ইউ’র পতাকা তলায় যোগ দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিন কার্জন গেটের সামনে সিআইটিইউ’র উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভা হয়েছে। সেখানে থেকে ৫ জনের প্রতিনিধিদল অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে।
বর্ধমান শহরের প্রাণ কেন্দ্র কোর্ট চত্বরের প্রায় ১৫০ জন হকারকে তুলে দেওয়ার নোটিশ করেছে জেলা প্রশাসন। ৩১ ডিসেম্বর শেষ তারিখ ঘোষণা করেছে। তারপরই উঠে যেতে হবে ছোট দোকানকে ব্যবসা গুটিয়ে। জেলা প্রশাসনের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কার্জনগেট চত্বরে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্ট্রীট হকার্স ইউনিয়ন বর্ধমান শহর ১ ও ২ এরিয়া কমিটির উদ্যোগ কার্জনগেট এলাকায় সিআইটিইউ’র ঝান্ডা নিয়ে কোর্টের সমস্ত হকাররা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হাজির হন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘সরকার কাজ দিতে পারছে না। গরিবের পেটে লাথি মারছে। এ চলতে পারে না। ৫০-৬০ বছর ধরে এখানে অল্প পুঁজি নিয়ে হকারি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে এই মানুষগুলো। এদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা চলবে না’’। এদিনের এই সভা থেকে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রশাসনকে আলোচনার জন্য সময়সীমা বাড়াতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না দেওয়া হলে আন্দোলন দীর্ঘ মেয়াদী চেহারা নেবে’’।
এই কোর্ট চত্বরে মূলত পান, বিড়ি, চা, মাছ ধরার জাল, ফাস্টফুড, চপ, ঘুগনী, ফুচকা বিক্রি করেন গরিব হকার’রা। রামভিয়ার কর্মকার, কাশী নাথ হাজরা, মনোজ পান্ডেরা এদিন জানিয়েছেন আমরা কোথায় যাবো, সংসারই বা চালাবো কি করে? প্রশাসনের কর্তারা উচ্ছেদ করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। এদিন সব স্ট্রীট হকার’রা বলেছেন, উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা হলে তাঁরা কিছুতেই মানবেন না।
Comments :0