SALIM PARLIAMENT SPEAKER

সংসদে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবই স্পষ্ট করছে বিজেপি : সেলিম

রাজ্য

সঙ্ঘ পরিবার নিজের হাতে স্পিকার পদ রাখতে চেয়েছে। শরিকদেরও বিশ্বাস করেনি। লোকসভার উপাধ্যক্ষ বিরোধী দলের থেকে করা উচিত। বিজেপি চায়নি যে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার বা প্রোটেম স্পিকার পদও অন্য কেউ পায়। এটি এক দলীয় শাসন কায়েম করার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব যা গণতন্ত্র বিরোধী। 
বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন ঘিরে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন বহরমপুরে সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দেন মহম্মদ সেলিম। 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের দেশের রাজনীতিতে বিজেপি এবং অন্যান্য কিছু দল ধর্মের নামে ভোট করার চেষ্টা করছে। আমরা একযোগে সব ভাষা, জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের পক্ষে লড়াইয়ের কথা বলছি। তৃণমূল তখন উগ্র জাতীয়তাবাদের পালটা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। আরএসএস’র ঠিক করা রাস্তায় হেঁটে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের পালটা ‘বাঙালি জাগো’ রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে।
সেলিম প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বাংলা ভাষার স্কুল কেন তুলে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার? কেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরবস্থা?’’ সেলিম বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভূমি সংস্কার দপ্তরের মন্ত্রী। রাজ্যে সব চেয়ে বেশি জমি দখল কারা করছে? কৃষকের চাষের জমিতে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে জমির মালিকানা বদলে যাচ্ছে। ওয়াকফ বোর্ডের জমি দখল করা হচ্ছে। আর প্রচারের জন্য প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছে নেই মুখ্যমন্ত্রীর। যেটা তার নিয়ম মাফিক প্রশাসনিক কাজ, সেটা নিয়েই তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন করছেন।’’ 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের যবাবে সেলিম বলেন, রেল যাত্রা নিরাপত্তাহীনতার শিকার। রেল দপ্তর চালাচ্ছে বিজেপি। কোটি কোটি টাকা খরচা করে বুলেট ট্রেন, বন্দে ভারতের গল্প শোনানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেরকম ট্রেনে যাত্রা করেন সেই যাত্রাকে ভয়াবহ করে দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে ধবংস করে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’
তারাতলায় ব্রিটানিয়া কোম্পানির ইউনিট বন্ধ প্রসঙ্গে চলে যাওয়া নিয়ে সেলিম বলেছেন, ‘‘এতেই প্রমাণিত হয় মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেন আসলে তার উলটো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ব্রিটানিয়া কোম্পানি ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন বিনিয়োগ করবে। তারাতলায় ওই কারখানা নাকি আধুনিক করা হবে। সামিট করে কী হয়? শুধু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো হয়। শুধু মিথ্যা কথা বলা হয়।’’
সেলিম দাবি জানিয়েছেন, এই রাজ্যেই শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে। পুরোনো সরকারি, বেসরকারি শিল্প কারখানা বাঁচাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত দপ্তর গুটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। আর বেসরকারি কোম্পানি তোলাবাজির জ্বালায় কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের পর আক্রমণ হয়েছে কর্মী সমর্থকদের উপর। কোথাও বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল, কোথাও ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে।  সব ক্ষেত্রেই আক্রান্তদের সঙ্গে রয়েছে পার্টি।’’

Comments :0

Login to leave a comment