BANDE BHARAT PATNA-HOWRAH

‘পূর্বা’-র ভাড়া ৯১৫ টাকা, মোদীর ‘বন্দে ভারত’-র ১৫০৫!

জাতীয় রাজ্য

BANDE BHARAT PATNA-HOWRAH

পূর্বা এক্সপ্রেসে পাটনা থেকে হাওড়া যাতায়াতে এসি থ্রি টায়ারে ভাড়া ৯১৫ টাকা। স্লিপারে গেলে যেতে পারবেন ৩৫০ টাকায়। এসি টু টায়ারে ভাড়া ১২৮০ টাকা। 

নতুন চালু ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস ধরলে একই পথে চেয়ার কারে ভাড়া পড়বে খাবার নিয়ে ১৫০৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে ভাড়া পড়বে ২৭২৫ টাকা। 

রবিবার এই ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসেরই ৯টি নতুন পথে ট্রেন চালুর ঘোষণা করলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ১১টি রুটে বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছেন তিনি। 

ফারাক যদিও রয়েছে সময়ের। পূর্বা এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে পাটনা দূরত্ব অতিক্রম করে প্রায় ১০ ঘন্টায়। আর রেলের দাবি অনুযায়ী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ৭ ঘন্টার কম সময়ে এই দূরত্ব অতিক্রম করবে। বহু আগে থেকে চালু জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের সূচি জানাচ্ছে ৮ ঘন্টার কম সময় এই দূরত্ব পাড়ি দেয় ট্রেন। জনশতাব্দীর ভাড়া চেয়ার কারে ৭৯০ টাকা। 

চালু ট্রেনের সময় কমাবে না রেল। কম সময়ে দূরত্ব পার হওয়ার শর্তে যাত্রদের থেকে আদায় করবে বাড়তি টাকা। সেই লক্ষ্যে চালু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনে মোদী যদিও বলেছেন, ‘‘দেশের গরিব এবং মধ্যবিত্ত জনতার পরিবহণে প্রধান ভরসা রেল।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আগে রেলের আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের সরকার রেলের রূপান্তর ঘটানোর চেষ্টা করছে।’’ 

অনেকেই যদিও মনে করিয়েছেন যে বাড়তি টাকায় কম সময়ে যাতায়াতে ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’ বা ‘শতাব্দী এক্সপ্রেস’ থেকে ‘দুরন্ত’ আগেও চালু হয়েছে। কিন্তু আমজনতা যে ট্রেনগুলিতে যাতায়াত করেন, অনেকক্ষেত্রেই, শৌচাগার থেকে ট্রেনের সময়, সব মিলিয়ে শোচনীয় অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হচ্ছে। বিশেষ করে জেনারেল কামরার ছবি দেখলে বোঝা যায় প্রয়োজনের সমস্যা কত গভীর। 

মোদী দাবি করেছে, তাঁর সময়ে চালু বন্দে ভারতে এর মধ্যেই ১ কোটি ১১ লক্ষের কিছু বেশি যাত্রী চলাচল করেছেন। সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, এই ট্রেন চালুই হয়েছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বিভিন্ন রুটে। 

রবিবার ঘোষিত ৯টি ট্রেনের মধ্যে রয়েছে রাঁচি-হাওড়া এবং পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। 

গত জুলাইয়ে যদিও একাধিক ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসে লোক কম হওয়ার সমস্যা বেরিয়ে এসেছিল। যেমন নাগপুর-বিলাসপুর রুটে সাড়ে ৫ ঘন্টার যাত্রাপথে আসনের ৫৫ শতাংশ ভরছিল না। ভোপাল-জব্বলপুর সাড়ে ৪ ঘন্টার যাত্রাপথে ৩২ শতাংশের বেশি আসনে ওঠেননি যাত্রীরা। রেলের সূত্র জানিয়েছিল তার কারণ চড়া ভাড়া। যে কারণে ভাড়া কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হয় রেলকে।  

Comments :0

Login to leave a comment