Post Editorial

কে ভগবান? কে শয়তান?

উত্তর সম্পাদকীয়​

শ্যামল কুমার মিত্র


গত ২৭ অক্টোবর আসামের বরাক উপত্যকায় কংগ্রেস সেবাদলের একটি সভায় ৮৫ বছর বয়সি কংগ্রেস নেতা শ্রী বিধুভূষণ দাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ও আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' গানটি গেয়েছিলেন। এই বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সংগঠিত ভাষা আন্দোলনে ১১ জন মানুষ পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিধুভূষণ দাস ও ঐ সভায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে 'দেশদ্রোহিতা'র অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে। এই রাজ্যের এক বিজেপি নেতা বললেন, "রবীন্দ্রনাথের গান তো কি হয়েছে? বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইলে এ রাজ্যের ২০২৬-এর পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুরূপ ব্যবস্থা হবে।" সম্প্রতি মধ্য প্রদেশের বিজেপি সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ইন্দর সিং পারমার বলেন, "ব্রিটিশরা নিজেদের স্বার্থে 'ভুয়া সমাজ সংস্কারক' সৃষ্টি করেছিল এবং এরমধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। রামমোহন ব্রিটিশদের নির্দেশে কাজ করতেন, ইংরেজি শিক্ষার আড়ালে চলত ধর্মান্তরকরণের চক্র। লোকটি ব্রিটিশদের দালাল ছিল।" যোগিরাজ্যে স্কুলপাঠ্য থেকে রবীন্দ্রনাথকে ছেঁটে ফেলে যোগি আদিত্যনাথ ও রামদেবের লেখা ঢোকানো হয়েছে। ২৩ নভেম্বর এ রাজ্যের আর এক বিজেপি নেতা টুইট করে বললেন, "যে কোনও উপায়েই হোক সাভারকার মুক্ত হয়েছিলেন বলে আমরা হিন্দুরা মাথা উঁচু করে বেঁচে আছি, না হলে মোহনদাস গান্ধী আমাদের সকলকে মুসলমানদের ক্রীতদাস বানিয়ে দিত। গান্ধী তো জিন্নাকে অবিভক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী করতে চাইছিল! আজকের ভারতে যে বিকৃত 'সেকুলারবাদ' মুসলিম উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় তার দায়িত্ব তো গান্ধী-নেহরুর।"
মুশকিলটা হলো, এদেশে ব্রিটিশদের প্রকৃত দালাল-রাজাকারদের উত্তরসূরিরা আজ রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, গান্ধী, নেহরুদের 'ব্রিটিশদের দালাল', 'শয়তান' বলছেন। বাংলার রবি ঠাকুরের গান যখন অন্য দেশের 'জাতীয় সঙ্গীত'এর মর্যাদা পেলে তা তো গর্বের। ভারতের সংবিধান আমাদের যেকোনও দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অধিকার দিয়েছে। রামমোহন রায়রা শুধু 'সতীদাহ প্রথা' আইনিভাবে নিষিদ্ধ করেননি, গোটা হিন্দু ধর্মকে অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, অশিক্ষা, নারী বিদ্বেষ থেকে মুক্ত করে এক নবজাগরণের জোয়ার এনেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেও সতত সোচ্চার ছিলেন। আরএসএস-বিজেপি হিন্দু সমাজকে আবার মধ্যযুগীয় তমসা ও পশ্চাৎপদতায় ফিরিয়ে দিতে চায়, তাই এই সব মহামানবদের প্রতি এত বিদ্বেষ।
১৯৪০ সালে গৃহবন্দিত্বের ঠিক আগে সুভাষ চন্দ্র বসু, জিন্না ও সাভারকার দু'জনের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের সাহায্য চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। সে সময়েই তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিম লিগের সমর্থনের বিনিময়ে অবিভক্ত স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব জিন্নাকে দেন। গান্ধী-নেহরুর সমর্থন ছিল এ প্রস্তাবে। জিন্না রাজি হননি। তাঁর দাবি ছিল মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র। সুভাষ-গান্ধী-নেহরুরা যে কোনও মূল্যে ভারতকে অবিভক্ত রাখতে চেয়েছিলেন, তার জন্য স্বাধীনতার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদটাও জিন্নাকে দিয়ে দিতে রাজি ছিলেন। এই জন্য আরএসএস-বিজেপি’র মতে গান্ধী হলেন 'শয়তান'।
দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কারা?
মুসলিম লিগ ১৯৪০ সালের ২৪ মার্চ তাদের লাহোর অধিবেশনে প্রথম দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলিমদের জন্য পৃথক পাকিস্তানের দাবি তোলেন। এর ১৭ বছর আগে সাভারকার 'হিন্দুত্ব' নামক পুস্তকে লেখেন, "যেহেতু মুসলিম ও খ্রিস্টানদের পবিত্রভূমি যথাক্রমে মক্কা ও জেরুজালেম, তাই 'বৃহত্তর হিন্দু' সংজ্ঞায় পড়েন না তারা। হিন্দুস্তান শুধু হিন্দুদের।" ১৯৩৭ সালে হিন্দু মহাসভার আমেদাবাদ অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে সাভারকার বলেন, "আজ ভারতকে একক ও সমজাতীয় বলে ধরে নেওয়া যায় না, বরং এর বিপরীতটাই হলো সত্য। এখানে প্রধানত দুটি জাতি রয়েছে— হিন্দু এবং মুসলিম। তাই ভারত এক জাতির দেশ নয়।" অর্থাৎ দ্বিজাতি তত্ত্বের গরল দেশবাসীকে মুসলিম লিগের দাবি তোলার ১৭ বছর আগে থেকে পান করানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল আরএসএস এবং হিন্দুমহাসভা।

১৯৪১ সালে ভাগলপুরে হিন্দু মহাসভার ২০ তম অধিবেশনে সাভারকার বললেন, "হিন্দুত্ববাদীরা নির্দ্বিধায় ভারতের ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিক।" এই নীতি অনুসরণ করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ২৮ জুলাই বাংলার ছোট লাট জন হাবার্ডকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের স্বাধীনতা আন্দোলন মোকাবিলার পন্থা ছকে দেন। আর সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের যুক্ত হয়ে পড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে 'ব্রিটিশ তুমি ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ডাক দেন কংগ্রেস। প্রদেশে প্রদেশে কংগ্রেসের মন্ত্রীসভাগুলি পদত্যাগ করে ব্রিটিশদের উপর চাপ বাড়াতে। সেই সুযোগে তখনকার হিন্দুত্ববাদীরা প্রদেশগুলির সরকারে যোগ দেয়, যাতে ব্রিটিশরা সমস্যায় না পড়ে। হিন্দুমহাসভার দ্বিতীয় প্রধান নেতা লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তানের দাবির উত্থাপক মুসলিম লিগ নেতা ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলা মন্ত্রীসভার অর্থ মন্ত্রী হন। উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে আব্দুল গফফর খানের নেতৃত্বে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করার পরই মুসলিম লিগের সর্দার আওরঙ্গজেব খানের সঙ্গে সরকার গড়লেন হিন্দুমহাসভার মেহের চাঁদ খান্না। সিন্ধু প্রদেশের আইনসভাতে ১৯৪৩ সালের ৩ মার্চ পাশ হয় পাকিস্তান প্রস্তাব। সেই সিন্ধু প্রদেশে মুসলিম লিগের মন্ত্রীসভায় তিন জন হিন্দু মহাসভার মন্ত্রী ছিলেন— রাও সাহেব গোকলদাস মেওয়ালদাস, ড. হেমনদাস আর. ওয়াধওয়ানি এবং লোলুমল আর মোতওয়ানি। এসব থেকে স্পষ্ট, তথাকথিত হিন্দুপ্রেমী ও মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদীরা চরম হিন্দু বিরোধী মুসলিম লিগের সঙ্গে ক্ষমতার চিটে গুড় ভাগ করে নিতে দ্বিধা করেনি। ঠিক যেমন মুসলিম বিদ্বেষের প্রদর্শনে সিদ্ধহস্ত নরেন্দ্র মোদীজি সভ্যতার কলঙ্ক তালিবানদের জন্য দিল্লিতে লাল কার্পেট পেতে দেন।
হিন্দুত্ববাদীদের আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'লিভস ফ্রম অ্যা ডায়েরি' বইতেই উল্লেখ আছে,  হিন্দু মহাসভার ব্রিটিশ প্রেমে বিরক্ত সুভাষ চন্দ্র বসু তার দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হিন্দু মহাসভার মিটিং হলেই তা ভেঙে দিতে। সাভারকার স্বয়ং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা ও ব্রিটিশ সরকারকে সমর্থনের লিখিত মুচলেকা দিয়ে ১৯২০ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন এবং নিষ্ঠাভরে সেই মুচলেকা অনুসারে কাজ করে গেছেন। এই সাভারকার ছত্রপতি শিবাজী ও চিমাজী আপ্পাকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন কারণ, প্রথমজন কল্যাণের মুসলিম রাজ্যপালের স্ত্রীকে ধর্ষণ না করে ছেড়ে দিয়েছিলেন, আর দ্বিতীয়জন বাসেইনের পর্তুগিজ রাজ্য প্রধানের স্ত্রীকে ধর্ষণ না করে মুক্তি দিয়েছিলেন ('সিক্স গ্লোরিয়াস ইপকস অব ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি', ১৯৬৬)। তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীরা তাদেরই 'ভগবান' মানেন যাঁরা ব্রিটিশদের দালালি করে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পিঠে ছুরি মারতেন, আর 'শয়তান' মনে করেন তাদেরই, যাঁরা ব্রিটিশ বিরোধিতা ও ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
গান্ধী হত্যা ও ধর্মনিরপেক্ষতা
দেশভাগের মাধ্যমে ভারত স্বাধীন হলো। কলকাতা ও নোয়াখালিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধে গান্ধীজী অনশন করলেন, তখনকার মতো স্বস্তি পাওয়া গেল। পশ্চিম পাকিস্তানের অবস্থাও ভয়াবহ। গান্ধীজী তখনও সক্রিয়। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই এ দেশে মুসলিমদের উপর হিংসায় অনুমোদন দেননি তিনি। ১৯৪৮ সালের ১৩ জানুয়ারি গান্ধীজী আবার অনশন শুরু করলেন। ১৮ জানুয়ারি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের হাতে ফলের রস খেয়ে গান্ধীজী অনশন ভঙ্গ করেন এই শর্তে, আবার হিংসা হলে তিনি পুনরায় অনশন শুরু করবেন। ২০ জানুয়ারি তাঁর প্রার্থনা সভায় তাঁকে মারার জন্য বোমা ছুঁড়লেন গডসের সহযোগী মদনলাল। গান্ধীজী প্রাণে বেঁচে গেলেন এবং মদনলালকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করলেন। ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসের গুলিতে প্রাণ হারালেন গান্ধীজী। হিন্দুত্ববাদীরা গান্ধীর নশ্বর দেহটাকে হত্যা করতে সফল হলেও ভারতের শান্তিকামী মানুষের মন থেকে গান্ধীকে মুছে দিতে পারেননি।
কবি জসিমুদ্দিনকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "কেন যে মানুষ একের অপরাধের জন্য অপরকে মারেন? ও দেশের মুসলমানরা হিন্দুদের মারল। তাই এদেশের হিন্দুরা এখানকার মুসলমানদের মেরে তার প্রতিবাদ করবে? এই বর্বর মনোবৃত্তির হাত থেকে দেশ কিভাবে উদ্ধার পাবে, বলতে পার?" ('যে দেশে মানুষ', কবি জসিমুদ্দিন)। গান্ধীজী ওদেশের মুসলমানদের অপরাধের জন্য এদেশের মুসলমানদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন না করতে চেয়ে প্রাণ দিলেন। এটা কি অপরাধ, হিন্দু বিদ্বেষ, নাকি রাষ্ট্রনায়কোচিত, প্রকৃত নেতার দায়িত্ববোধ ও পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন? স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় হিন্দু পাবেন, মুসলিম পাবেন, কমিউনিস্ট পাবেন, সোশালিস্ট পাবেন, ফরোয়ার্ড ব্লক পাবেন, কংগ্রেস পাবেন, সব পাবেন, কিন্তু একজনও আরএসএস, হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লিগ নেতা-সদস্য-সমর্থকের নাম পাবেন না। বাংলার যে ৪১ জন শহীদ দেশকে স্বাধীন করতে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের একজনও আরএসএস, হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লিগের কেউ ছিলেন না।
নরেন্দ্র মোদীজি বললেন, "কংগ্রেস বন্দেমাতরমকে খণ্ডিত করে দেশভাগ ডেকে এনেছে।" প্রধানমন্ত্রী কি জানেন না— গণপরিষদের যে সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়, সেই সিদ্ধান্তে সাক্ষর করেছিলেন তাঁদের আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়? সংবিধান রচনার সময় দেশের মুসলিম নেতাদের প্রস্তাব দেওয়া হয় সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিমদের জন্য ১৫% সংরক্ষণের সংস্থান রাখা হবে সংবিধানে। তৎকালীন মুসলিম নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, 'ধর্মনিরপেক্ষ ভারত'-এর সংবিধানে 'ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ'-এর সংস্থান থাকতে পারে না। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতো নেতাদের নেতৃত্বে এ দেশের মুসলিম সমাজ 'ধর্মনিরপেক্ষ ভারত'-কেই তাদের দেশ বলে গ্রহণ করেছেন। জন্মভূমি, কর্মভূমিকে ছেড়ে ধর্মব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে 'ধর্মনিরপেক্ষ ভারত'কে ত্যাগ করেননি, এ দেশকেই নিজেদের দেশ মনে করেছেন। সমস্ত অ-বিজেপি দল, সংগঠন, ভারতের মানুষ আমাদের দেশের 'ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র' বজায় রাখবে। রাজাকারদের উত্তরসূরিদের এটা পছন্দ না হলে, তারা এ দেশ ছাড়তে পারেন, কিন্তু দেশের মানুষ 'ধর্মনিরপেক্ষতা' ছাড়বেন না।
গত ১৬ নভেম্বর 'আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস'-এর অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী রাম জেঠমালানি বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতা শুধুমাত্র একটি জিনিস বোঝায় - নিরক্ষরতার উপর শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্ব, অন্ধ বিশ্বাসের উপর যুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব, এবং ধর্মের উপর বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা। এবং আমি বিশ্বাস করি যে ড. আম্বেদকরের মহান গুণ এবং সাফল্য ছিল যে তিনি ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান দিয়েছেন।"
গান্ধীজীর অত্যন্ত প্রিয় একটি ভজন ছিল, "ঈশ্বর আল্লা তেরো নাম, সবকো সম্মতি দে ভগবান"। ঈশ্বর-আল্লা এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমা করবেন কি?
 

Comments :0

Login to leave a comment