মাস চালানোর মতো বেতন নেই শিক্ষকদের। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মঘটের অধিকার। এমনকি সরকারি কর্মীর স্বীকৃতিই কেড়ে নিচ্ছে ভিক্টর ওরবান সরকার। শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের রাস্তায় সামনের সারিতে থাকছেন হাঙ্গেরির ছাত্ররা।
শুক্রবারও রাজধানী বুদাপেস্টে হয়েছে নজির ভাঙা মিছিল। সামনে কমবয়সীদের ঢল। কর্তৃত্ববাদী, একতরফা ভিক্টর ওরবানের শাসনে ক্ষোভ সরাসরি রাস্তায়। গত বছর সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদের জোটকে হারিয়েছেন ওরবান। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তারপর থেকে আরও বেপরোয়া তিনি। সেই শাসনকেই টানা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে শিক্ষক এবং ছাত্রদের যৌথ আন্দোলন।
কিন্তু বুদাপেস্টের রাস্তায় ছাত্ররা স্লোগান তুলছেন, ‘টিয়ার গ্যাস ক্যানট টিচ আস’- টিয়ার গ্যাস আমাদের পড়াতে পারে না। কারণ এর আগে পরপর কয়েকটি জমায়েতে ছাত্রদের ওপর চালানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। রবার ব্যাটন দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। তবে প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরানো যাচ্ছে না শিক্ষক বা ছাত্রদের। পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সমাজের বিভিন্ন অংশের সমর্থন পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।
প্রতিবাদ আন্দোলন দাবি তুলছে, শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হবে। অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে বেঁচে থাকার মতো আর্থিক প্রতিদান দিতে হবে। পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় অনেক কম হাঙ্গেরিতে শিক্ষকদের বেতন। বস্তুত শিক্ষাকে বেসরকারি হাতেই তুলে দিচ্ছে ওরবান সরকার। শিক্ষকের সংখ্যা সমানে কমিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় আইনসভায় শিক্ষকদের সরকারি স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার জন্য বিলও আনতে চাইছে।
বুদাপেস্টে প্রতিবাদী শিক্ষিকা অ্যাগনেস ভ্লাসিকস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সরকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। জয় পরাজয়ের মতো করে দেখছে। কোনও কথা শুনতেই নারাজ। অনমনীয় জায়গায় চলে গিয়েছে। কেবল ডিক্রি জারি করে দেশ চলতে পারে না।’’
Comments :0