এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থবার সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য বিহারে। বৃহস্পতিবার কিষাণগঞ্জে কনকাই নদীর ওপর সেতুর একাংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। কনকাই নদীর ওপর তৈরি এই সেতুটি ছিল ৭০ মিটার দীর্ঘ। বাহুদুরগঞ্জ এবং দীঘলবাঙ্ক ব্লকের অন্যতম সংযোগ ছিল সেটি। এখন সেতু ভেঙে পড়ায় দুই জেলা শহরের মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে ঘটনায় হতাহতের কোন খবর নেই।
জানা গেছে বিহারের কিশনগঞ্জের বাহাদুরগঞ্জ এলাকার ডুবাডাঙ্গী গ্রামের কাছে মরিয়া নদীর সেতু বুধবার নদীর হঠাৎ জলবৃদ্ধির ফলে আংশিক ধসে পড়ে। এই সেতু পথ নির্মান দপ্তরের আওতায় জনৈক ঠিকেদার নির্মান করেন। অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহারের ফলে সেতুটি আংশিক ধসে গেছে। এরফলে এই পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে মরিয়া নদীর উপরে ২০১১ সালে নির্মিত সেতু আংশিক ধসে পড়ার ফলে বাহাদুরগঞ্জ, তুলসিয়া, লোহাগাড়া, জয়নগর সহ সীমান্ত এলাকায় মানুষের যাতায়াতের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ৭০ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওরা, এই সেতু ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়। আবার এই সেতু সীমান্ত এলাকার মানুষের লোহাগাড়া হয়ে ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগসূত্র।
সেতু বিপর্যয়ের খবর পেয়ে জেলাশাসক তুষার সিঙলার নির্দেশে বাহাদুরগঞ্জ থানার আইসি অভিনব পরাশর ও পথ নির্মান দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেতুর দুইদিকে লোহার ব্যারিকেড লাগিয়ে দেয়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তর ভারতের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়েছে। বিহারের কঙ্কাই এবং মাদিয়াতেও জল গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে। সেই কারণেই এই বিপর্যয়’’।
এদিন নির্মান দপ্তরের কর্মীরা যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় সেতুর ধস মেরামতের কাজ শুরু করেছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। ধসের কারণ জানতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Comments :0