বিজেপি-আরএসএস-এর বুলডোজার আমাদের গণতন্ত্রকে ভাঙছে, তা আমাদের ঠেকাতে হবে। একইসঙ্গে তৃণমূলের জঙ্গলরাজ দুর্নীতি শেষ করতে হবে। গোটা দেশ জুড়ে একসাথে আরও ঐক্যবদ্ধ ও জোরদার লড়াইয়ে নামবেন মহিলারা। মঙ্গলবার চনন্দননগরে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশ্য সমাবেশে সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিজেপি-আরএসএস’র জনবিরোধী নীতি, সাম্প্রদায়িকতার নীতি, মনুবাদের নীতি, নারীদের অধিকার হরণ, অত্যাচার-এসবই সাধারণ মানুষ, ছাত্রযুব মহিলাদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। আর এ রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আরএসএস’র নীতি ততটা খারাপ নয়, আরএসএস দল অত খারাপ নয়। তাহলে কোন খেলা চলছে ভাবতে হবে। সমাবেশে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওলে বলেন, গরিব মানুষ, মহিলা, শিশুদের কান্না বাড়ছে ক্ষুধার ভারতে। দেশ নাকি উন্নত হচ্ছে। কোন দিক থেকে উন্নত হচ্ছে। একমাত্র বামপন্থীরাই দেশের উন্নয়ণের রাস্তা দেখাতে পারে। যেখানে বামপন্থীরা জিতবে সেখানেই উন্নতি হবে।
তাই সামনে যে নির্বাচন আছে তার লড়াই আমাদের লড়তে হবে তীব্রভাবে।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’র ২৯তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন এদিন শুরু হল প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্যে দিয়ে। শুরুতে পতাকা উত্তোলন করেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভানেত্রী অঞ্জু কর। এরপর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন নেত্রীবৃন্দ। সমাবেশে বৃন্দা কারাত, মারিয়াম ধাওলে, মালিনী ভট্টাচার্য ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মহিলা আন্দোলনের নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, মহিলা আন্দোলনের নেত্রী দীপ্তি চ্যাটার্জি প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন অঞ্জু কর।
উপস্থিত ছিলেন, রেখা গোস্বামী, মিনতি ঘোষ, মিতালী কোঙার সহ বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দ। সমাবেশ স্থলে ছিলেন সিপিআই(এম) হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সঙ্গীত, নৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ জমজমাট হয়ে ওঠে। নেত্রীবৃন্দের বক্তব্য শুনতে উপস্থিত হয়েছিলেন অসংখ্য মহিলা, ছিলেন আশেপাশের এলাকার বহু মানুষ।
Comments :0