মার্চ মাসে ‘দশে দশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সিপিআই(এম)। ১০ মার্চের আগে এবং পরে রাজ্য জুড়ে দশটি বড় বড় সভা হবে বলে জানিয়ে ছিলেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ৯ থেকে ১১ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই দিনে ১১ জনসভার সূচি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটি।
সিপিআই(এম) যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে দু’টি সভা হচ্ছে এই পর্বে। বাকি নয়টি সভা দক্ষিণবঙ্গে। ৯ মার্চ ফুলবাড়ির সভায় প্রধান বক্তা সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ওই একই সভায় তাঁর সঙ্গে বক্তা হিসাবে থাকবেন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার।
মহম্মদ সেলিম বক্তব্য রাখবেন মুর্শিদাবাদেও। ১০ মার্চের ভগবানগোলার সভায় তিনি প্রধান বক্তা। সঙ্গে জেলা সম্পাদক এবং রাজ্য কমিটির সদস্য জামির মোল্লা।
১১ মার্চ, মেখলিগঞ্জের সভায় প্রধান বক্তা যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। এই কোচবিহার জেলা থেকে ৫০ দিনের দীর্ঘ ইনসাফ যাত্রা শুরু করেছিল ডিওয়াইএফআই। যার নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জিরা। মীনাক্ষীর সঙ্গে ওই সভাতেও বক্তা হিসাবে থাকবেন জীবেশ সরকার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার লাউহাটির সভায় বক্তা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস, সুজন চক্রবর্তী, রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ, প্রতীকুর রহমান, অলোকেশ দাস।
কৃষ্ণনগরের সভার বক্তা তালিকায় মহিলারাই। ১০ মার্চের ওই সভায় বক্তা ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা বোস ঘোষ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ও প্রাক্তন বিধায়ক রমা বিশ্বাস।
ওইদিন আরও একটি সভায় বক্তা হিসাবে থাকছেন মীনাক্ষী মুখার্জি। সিঁথির সভায় মীনাক্ষীর পাশাপাশি বক্তা হিসাবে থাকছেন রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পলাশ দাস এবং রাজ্য কমিটির সদস্য ফৈয়াজ খান।
পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে বক্তা থাকবেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরি, জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, এসএফআই’র সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর।
একই দিনে বৈদ্যপুরে সভায় বক্তা হচ্ছেন হুগলীর জেলা সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষ, রাজ্যের মহিলা আন্দোলনের প্রবীণ নেত্রী অঞ্জু কর, কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ।
বীরভূমের রামপুরহাটে বক্তা পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ, ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা।
উলুবেড়িয়ায় বক্তা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, হাওড়া জেলার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ।
১১ মার্চ নজর থাকবে সন্দেশখালির দিকে। সন্দেশখালিতে বারবার সিপিআই(এম)’র সভা আটকেছে পুলিশ। ১১ মার্চ সভায় বক্তব্য রাখবেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য দেবলীনা হেমব্রম, সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, আইনজীবী এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য ও জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর নাম।
উল্লেখ্য এই সন্দেশখালির আদিবাসী এবং মহিলাদের ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূল। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলেন তারা। তার সমর্থনে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছিল বামপন্থীরা।
তৃণমূল সরকারের সময়ে বিধানসভার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রম। চিট ফান্ড দুর্নীতি থেকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। রাজ্যে তো বটেই দেশেও, আদিবাসী অধিকারের লড়াইয়ে অন্যতম নেত্রী তিনি। সন্দেশখালিতে অন্য অংশের পাশাপাশি লুট হয়েছে আদিবাসী মানুষের বিপুল জমি। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে এই জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। সেই সন্দেশখালিতে বক্তা থাকছেন দেবলীনা হেমব্রম।
CPI(M)
মেখলিগঞ্জ থেকে সন্দেশখালি ১১টি সমাবেশ করছে সিপিআই(এম)
×
Comments :0