Tea Garden Sujan Chakraborty

ভোট শেষ, বাগান বন্ধ: ক্ষোভ চক্রবর্তীর

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

দু’দিনে কাজ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার চা শ্রমিক। বন্ধ হয়েছে চার-চারটি চা বাগান। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘গুরুতর বিপদে চা শ্রমিকরা। চা বাগান এলাকায় দারিদ্র ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে।’’

দীর্ঘ আন্দোলন চালিয়ে চা শ্রমিকদের সংগঠনগুলি আদায় করেছে বোনাসের দাবি। চলেছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। তরাই ও ডিয়ার্সের বেশিরভাগ বাগান মালিক দাবি মানতে বাধ্য হয়। এরপরই একে একে চা বাগান বন্ধের ঘোষণা শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন, উৎসবের আগে বোনাস দেওয়া হবে না। তার জন্যই বাগান বন্ধ করা হচ্ছে।

চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে একদিকে বিজেপি আরেকদিকে তৃণমূলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলল, কে কত শ্রমিক দরদি। ভোট শেষ, এখন বাগান বন্ধ।’’

ডুয়ার্সের বানারহাট থানা এলাকার চামুর্চি এগ্রো ইন্ডিয়া লিমিটেড পরিচালিত চামুর্চি টি এস্টেটের চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় এখন প্রবল ক্ষোভ। ভুটান পাহাড়ের নিচে সীমান্তের গেটের গা জড়িয়ে থাকা ১০৭৪ জন স্থায়ী চা শ্রমিক ডুবে গিয়েছেন ঘোর অনিশ্চিয়তার অন্ধকারে। শনিবার কারখানার গেটে দেখেছেন বিরাট তালা ঝুলছে। গেটেই লটকানো সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ। 

শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলতেই থাকে। পরে জলপাইগুড়ি থেকে যুগ্ম সহকারী লেবার কমিশনারের চিঠি এসেছে। ১৬ অক্টোবর মালিক পক্ষের সভা ডাকা হয়েছে। 
চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের রিজিওনাল কমিটির সদস্য রফিক আনসারি বলেন, চা বাগান মালিকদের সংগঠনের সাথে তিনদিন আগে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সভায় বোনাস চুক্তি হলেও এই বাগানের কর্তৃপক্ষ জানায় আমরা নিজেরা বাগানে শ্রমিক নেতৃত্বের সাথে বসে বোনাস চুক্তি করে নেব। 

শুক্রবার ডুয়ার্সের এই দুটি বাগান বন্ধ করে দিয়েছিলেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার রাতেই বাগান ছেড়ে চলে যান বাগানের পরিচালকরা। কাজ হারান প্রায় ২৩০০ শ্রমিক। গরাকাটা ব্লকের নয়া সাইলি চা বাগানে বৃহস্পতিবার সাসপেনশন অব ওয়ার্কঘোষণা করা হয়। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগানও বন্ধও হয়েছে। সেখানে ৯৯৯ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। 

Comments :0

Login to leave a comment