মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি নতুন চাকরির পদ সৃষ্টি করেছেন। অসত্য কথা। রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার পদ ফাঁকা পড়ে আছে। আগে সেগুলো পুরণ করুন। স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী নিয়োগ চাই। এটাই শিক্ষক আন্দোলনের আজকের দাবি। শুক্রবার বিকালে সারেঙ্গার মিশন মাঠে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ’র বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে একথা বলেন রাজ্যের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘‘জেলে আজ পুরো শিক্ষা দপ্তরের মাথারা বন্দী হয়ে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীও অপেক্ষায় আছেন কবে তিনি জেলে যাবেন। আসল মাথা তো উনিই।’’
আগামী রবিবার এখানে সংগঠনের জেলা সম্মেলন হবে। তাকে সামনে রেখেই এদিন সমাবেশ হয়। ধান কাটার সময় হলেও এই সারেঙ্গা থানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু মানুষ এদিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল মহিলা। মিছিল করে তাঁরা শিক্ষক সংগঠনের সভায় আসেন।
সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সমাবেশে বলেন, ‘‘এই জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রক্তের স্রোত বইয়ে দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জির দল। সারেঙ্গার বুকে ২০০১ সালে এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিআই(এম) নেতা শিবরাম সৎপতিকে তখনকার জনযুদ্ধবাহিনী খুন করে। মাওবাদীদের খুনের রাজনীতি থেকে শুরু করে সিঙ্গুরে কারখানা করতে না দেওয়া, নন্দীগ্রামে সংঘর্ষ করা সবেতেই উপকৃত হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।’’ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আদিবাসী, গরিব মানুষের রক্তের স্রোতের উপর পা মাড়িয়ে আজ তিনি নবান্নে বসেছেন। মানুষের হাতে কাজ নেই। ২০১৪, ২০১৭ সালে শিক্ষকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আজ রাস্তায়। কেন স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হলো না? সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক আমরা চাই না। স্বচ্ছভাবে, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ শিক্ষক চাই।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এবিটিএ স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে লড়াই করছে। শতবর্ষের প্রাচীন এই শিক্ষক সংগঠনটির পাশে রবীন্দ্রনাথও দাঁড়িয়েছিলেন একদিন। সেই ঐতিহ্যই বহন করে চলেছে তাঁরা।’’ এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন, গণআন্দোলনের নেতা অজিত পতি, জেলা সম্পাদিকা অস্মিতা দাশগুপ্ত। সভা পরিচালনা করেন জেলা সভাপতি অতনু বন্দোপাধ্যায়।
Sujan Chakraborty
শিক্ষায় দুর্নীতির মাথা মুখ্যমন্ত্রীই, বাঁকুড়ায় সুজন চক্রবর্তী
×
Comments :0