SIKKIM DEATH TOLL

সিকিম বিপর্যয়ে উদ্ধার ৪০ দেহ, নজর বিশ্ব উষ্ণায়নেও

জাতীয়

জল যত নামছে মিলছে মৃতদেহ। হড়পা বানের পর তৃতীয় দিনে অন্তত ৪০ জনের দেহ মিলেছে সিকিমে। মিলেছে ৭ সেনার দেহ। কয়েক হাজার মানুষ আটকে রয়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। 

সিকিমের মুখ্যসচিব বিজয় ভূষণ পাঠক জানিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার মানুষ বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন কেবল মাচেন এবং লাচুঙে। সেনা এবং বায়ুসেনার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। হেলিকপ্টারে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।’’ 

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাঙ হড়পা বানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী করেছেন বাঁধের নিম্নমানের নির্মাণকে। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘অতীতে বিভিন্ন সরকার আসীন ছিল। চুঙথাঙ বাঁধ সেই সময়েই তৈরি হয়েছে। নিচু মানের কাজ হয়েছে বাঁধের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘লোনাক হ্রদ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে ঠিকই, তবে নিচু মানের নির্মাণ কাজের জন্যই চুঙথাম বাঁধ পুরো ভেঙে পড়েছে।’’ 

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বাইরেও হড়পা বানে ভয়াবহ প্রভাবের অন্য ব্যাখ্যা রয়েছে। হিমবাহে পুষ্ট লোনাক হ্রদ গত তিন দশকে আয়তনে তিনগুণ বেড়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আচমকা বিপুল বৃষ্টি হলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কাও জানানো হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা এনএইচপিসি বাঁধের পরিস্থিতি বিশদে খতিয়ে দেখবে জল নামলে। 

৩ অক্টোবর মধ্যরাতের পর মেঘভাঙা বৃষ্টির পর নামে হড়পা বান। লেনাক হ্রদের বিপুল জল হু-হু করে পড়ে তিস্তায়। তিস্তার জলে ভেসেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাও।  

হড়পা বানে সিকিমে ১১টি সেতু ভেঙে পড়েছে। জলের লাইন প্রায় ধ্বংস হয়েছে চার জেলায়। 

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের জরে হিমালয়ে ঘেঁষে থাকা বিভিন্ন এলাকয় হড়পা বান বাড়ছে। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশেও বিধ্বংসী বন্যা দেখা গিয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment