নিজের বান্ধবীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করল যুবক পরে সেই দেহাংশ জঙ্গলে ফেলে প্রমান লোপাটের চেষ্টা। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৮ বছর বয়সী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে(২৬) খুন করার অভিযোগে আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাকে ৫দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধা মুম্বাইতে একটি সংস্থায় কাজ করত। সেখানেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু শ্রদ্ধার বাড়িতে এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তোলে। বাড়ির বিপক্ষে গিয়েই এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে শ্রদ্ধা এবং মুম্বাই থেকে দিল্লি চলে আসে। 
দিল্লিত ছতরপুর এলাকায় ভাড়া নিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকছিল শ্রদ্ধা ও আফতাব। কিন্ত বিগত কয়েক মাস ধরে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় শ্রদ্ধা। সম্প্রতি শ্রদ্ধার বাবা মদন মোহন ওয়াকার মুম্বাই থেকে দিল্লিতে আসে মেয়ের খোঁজে। কিন্তু তার সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত ১৮ মে আফতাব খুন করেছে তার প্রেমিকাকে। পাঁচ মাস আগে আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে ঝগড়া হয় তা নিয়েই প্রথমে গলা টিপে শ্রদ্ধাকে খুন করে সে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 
খুন করার পর ৩৫ টুকরো করে তার দেহ। কিন্তু সেই দেহাংশ রাখা নিয়ে সমস্যা শুরু হতেই একটি ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কেনে সে। সেই ফ্রিজে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলো রেখে টানা ১৮ দিন ধরে সেগুলোকে দিল্লি সংলগ্ন মেহেরাউলি জঙ্গলে ফেলে আসত আফতাব। প্রতিদিন ভোর ২টো নাগাদ জঙ্গলে যেত আফতাব বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে সেরকম কিছু দেহাংশ পেয়েছে পুলিশ তবে সেগুলো মানুষের কি না তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। খুনের পর ঘরে দুর্গন্ধ এড়াতে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাখত আফতাব। তবে দেহগুলো যে ভাবে কাটা হয়েছে সেক্ষেত্রে আরও কেউ এই কাজে আফতাবকে সাহায্য করেছে বলে ধারণা পুলিশের।