YECHURY ELECTION

ঢেউ নেই, হারের ভয়ে বিদ্বেষে মরিয়া মোদী, বলছেন ইয়েচুরি

জাতীয়

ভোটের হার কমছে। তার অর্থ এবারের ভোটে কোনও ঢেউ নেই। কোনও ঢেউ না থাকলে মোদীর পক্ষে জেতা সবসময় কঠিন। 
‘ডেক্কান হেরাল্ড’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মত জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘‘আগেরবার জয়ী হয়েছে এমন আসন খোয়ানোর আশঙ্কা করছে বিজেপি। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী মরিয়া। নির্বাচনী ভাষণে ধর্মীয় মেরুকরণ এবং বিদ্বেষ উসকে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’ 
সাম্প্রদায়িক তাস কি কাজে আসবে?
ইয়েচুরি বলছেন, ‘‘এই কৌশল বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। এখন চরমে পৌঁছেছে। ভোটপক্রিয়ার মধ্যে যদি বিজেপি দাঙ্গা না বাঁধাতে পারে এই কৌশলে কাজ হওয়া কঠিন। অন্তত বিজেপি যতটা আশা করছে ততটা হবে না।’’
ইয়েচুরির ব্যাখ্যা, ‘‘হিন্দুই হোন বা মুসলিম আসলে মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য বা রোজগারের মতো বিষয়গুলিতে নজর দিতে হয়। নরেন্দ্র মোদী কিন্তু এমন সব বিষয়ে একেবারেই চুপ থাকছেন। কর্মহীনতা বা ক্ষুধা বা বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় পরিষেবার বিষয়ে কথাই থাকছে না তাঁর ভাষণে। বরং ‘মটন’ এবং ‘মুসলিম’ নিয়েই তাঁর আগ্রহ। মুসলিম জনসংখ্যা বা অন্যদের থেকে কেড়ে মুসলিমদের সংরক্ষণের প্রচারের ভুয়ো দিক ধরা পড়ে গিয়েছে। মোদীকে তাই প্রতিদিন আরও হিংসাত্মক আরও আগ্রাসী ভাষণ দিয়ে যেতে হচ্ছে।’’
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘অবাধ এবং স্বচ্ছ ভোট প্রক্রিয়ার পক্ষে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সবার জন্য সমান পদক্ষেপ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি’র সবচেয়ে নির্লজ্জ লঙ্ঘনের ঘটনাতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ধর্মীয় ভাবাবেগকে উসকে ভোট পাওয়ার চেষ্টায় বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীদের বেলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অথচ শাসক দলের যগন্য আচরণেও নীরব থাকছে কমিশন।’’
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘‘আশা করার কারণ রয়েছে যে সিপিআই(এম)’র শক্তি এবার বাড়বে। কুড়ি বছর নির্বাচনী শক্তি হ্রাস পেতে থাকলেও এবার এগনো সম্ভব হবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment