ELECTION COMMISSION BENGAL

রাজ্য না করলে জেলায় সর্বদলীয় বৈঠক করাবে কমিশনই

রাজ্য কলকাতা

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠকে। মঙ্গলবার গ্র্যান্ড হোটেলে অচ্যুৎ রায়ের ছবি।

অনিন্দ্য হাজরা ও সৌরভ গোস্বামী
জেলায় জেলায় সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানিয়েছিল সিপিআই(এম)। কমিশন জানিয়েছে জেলাশাসকরা এবং এসপি-রা সর্বদলীয় বৈঠক করবেন। তাঁরা না করলে কমিশনের পর্যবেক্ষকরা সর্বদলীয় বৈঠক করবেন। অভিযোগের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা লিখিতভাবে জানানো হবে। 
ঠিকায় নিযুক্ত সরকারি কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনের কোনও স্তরে ব্যবহার করা যাবে না। ২০২৩’র পঞ্চায়েতে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিলেও বাস্তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা করায়নি। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখল, ভোট লুট থেকে গণনা কেন্দ্রে লুটের থেকে শিক্ষা নিতে বলেছিল সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিদল। পুলিশ নিজে ভোট লুটে যুক্ত ছিল, সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং কর্মীদের নির্বাচনে কাজে যুক্ত রাখা যাবে না। তা’হলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন রাজ্যে হতে পারে না। 
কমিশন এই অভিযোগ খারিজ না করলেও আপাতত আধিকারিকদের সরানোর সিদ্ধান্ত অন্তত মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে জানায়নি। তবে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। 
কমিশনের বক্তব্য, সভার জায়গা দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা যাবে না। স্বচ্ প্রক্রিয়ায় যাতে জায়গা দেওয়া হয় তার জন্য অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি থাকবে। আগে আবেদনের ভিত্তিতে দেওয়া হবে অনুমতি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বুথে এজেন্টের কাজ করতে বাধা যাতে না দেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলেছে কমিশন। 
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ এসেছে। বারবারই দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনও দ্রুত প্রতিকার করার মতো কিছু করতে পারে না। রাজ্যে ভোট ঘোষণার আগেই দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। রুট মার্চও করছে। কিন্তু তাদের ব্যবহার করে আস্থা ভরসা তৈরি করার কাজ কেমন হবে সেই প্রশ্ন রয়েছে। তবে কমিশনের আশ্বাস, একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে ‘সি-ভিজিল’ নামে। সেখানে ছবি বা ভিডিও দিয়ে অভিযোগোগ জানানো যাবে। অভিযোগ জানানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছাবে বাহিনী। অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা যদিও এই ব্যবস্থা কার্যকর করার অন্যতম শর্ত।

Comments :0

Login to leave a comment