Rahul Gandhi

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সরব রাহুল

জাতীয়

নির্বাচন কমিশনর নিয়োগ নিয়ে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার মধ্যরাতে জ্ঞানেশ কুমারকে দেশের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য এই কমিটি নিয়েই আপত্তি তুলেছেন রাহুল। সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত চারজনের কমিটি এতদিন নির্বাচন কমিশনারকে হবে তা ঠিক করে এসেছে। কিন্তু মোদী সরকার এবার সেই কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে যাকে অসাংবিধানিক বলে চিহ্নিত করেছেন রাহুল। 
এক্সহ্যান্ডেলে রাহুল লিখেছেন, ‘‘বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আপত্তি জানিয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছিলাম। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনকে শাসন বিভাগের থেকে আলাদা রাখার বা দুরে রাখার অন্যতম উপায় হলে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরকে এই কমিটি থেকে সড়িয়ে দিয়ে মোদী সরকার যেই কাজ করেছে তাতে নির্বাচন কমিশনের ওপর দেশের সাধারণ মানুষের যেই ভরসা তা ধাক্কা খাচ্ছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমার কাজ সরকারকে মনে করিয়ে দেওয়া আমি তা করেছি।’’
তিনি আরও বলেছেন, মধ্যরাতে এমন সময় মুখ্যনির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হচ্ছে যখন সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিরোধীদের দাবি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে যেই কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে সরকার ক্ষমতার বলে নিজের পছন্দের মতো লোককে এই সাংবিধানিক পদে বসাবে। আগামী চার বছর দেশের যেই বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচন গুলো আছে তাতে নিজের লোককে ব্যবহার করে কেন্দ্রের শাসক দলে ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলে আশঙ্খা প্রকাশ করেছে অনেকে। 
নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি। তার আগে নতুন কমিশনার নিয়োগ প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহলে।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যেই তিনজনের কমিটি তৈরি হবে তার সদস্য হবেন দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু মোদী সরকার সেই নির্দেশকে কোন মান্যতা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মতে কমিটি গঠন করে কমিশনার নিয়োগও করলো মধ্যরাতে যা স্বাধীন ভারতে বিরল।
এর আগে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার এবং আরএসএসের ঘনিষ্ট ব্যাক্তিদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এবার সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের হাতে নিতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস আর তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নিজেদের পছন্দ মতো লোককে তারা সেই পদে বসাচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment