SC ELECTORAL BOND

অনুদানে গোপনীয়তার সঙ্গে স্বচ্ছ ভোটের বিরোধ নেই! সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

জাতীয়

নির্বাচনী বন্ড চালু হওয়ার পরও অজানা উৎস থেকে রাজনৈতিক দলগুলির আয় কমেনি। বরং বেড়েছে। নির্বাচনী বন্ডে আসলে কর্পোরেট অনুদানের অর্ধেকের বেশি পেয়েছে একা বিজেপি। 

সুপ্রিম কোর্টে কর্পোরেট বন্ডের বৈধতা নিয়ে মামলার মধ্যে ফের সামনে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান সংক্রান্ত এই হিসেব। বৃহস্পতিবার কর্পোরেট বন্ড সংক্রান্ত মামলার তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে। 

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, ‘‘অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের সঙ্গে গোপনীয়তার বিরোধ নেই।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নতুন পদক্ষেপ নেওয়া, ভুল হলে তা শুধরে নিয়ে আইন বদলানোর অধিকার আইনসভার রয়েছে।’’ 

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে সওয়াল। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থায় আপত্তি তুলে আদালতে মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে সিপিআই(এম)-ও। সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডে টাকা নেয় না। 

সব রাজনৈতিক দলকেই আয়ের হিসাব দাখিল করতে হয় আয়কর দপ্তরের কাছে। ২০ হাজার টাকার কম অনুদানের ক্ষেত্রে দাতার নাম জানানোর দরকার পড়ে না। তাকে ‘অজানা’ উৎস বলা হয়। তথ্য বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৭’র মধ্যে এমন অজানা উৎস থেকে রাজনৈতিক দলগুলির আয় ছিল মোট আয়ের ৬৬ শতাংশ। ২০১৮’তে চালু হয় নির্বাচনী বন্ড। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত হিসেব বলছে অজানা উৎস থেকে আয় বেড়ে হয়েছে ৭২ শতাংশ। 

সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এই হিসেবই বলে দিচ্ছে কেন নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে সিপিআই(এম)।’’ 

এদিনও সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ড চালু করে অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থেকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার দিকে এগনোর চেষ্টা হয়েছে।’’

সুপ্রিম কোর্টে অজানা উৎসকে সন্দেহজনক বলে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তার জবাবও দিয়েছেন কেরালারা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য টমাস আইজ্যাক। 

আইজ্যাক বলেছেন, ‘‘মেহতা কেরালার মতো রাজ্যে এসে দেখে যেতে পারেন সিপিআই(এম) গণসংগ্রহ করে কিভাবে জনতার থেকে অনুদান নেয়। সিপিআই(এম) সদস্যরা নিয়মিত নিজেদের আয় থেকে লেভি দেন পার্টি তহবিলে।’’

জনগণের থেকে অনুদানের বদলে গোপন কর্পোরেট অনুদানের ওপর নির্ভরতা চালু করেছে নির্বাচনী বন্ড। নির্বাচন কমিশনকে আগে কর্পোরেট দাতার নাম জানাতে হতো, এই ব্যবস্থায় হচ্ছে না। হিসেব বলছে, এই বন্ড চালু হওয়ার পর গোপন অনুদান সবচেয়ে বেশি, ৫৭ শতাংশ পেয়েছে একা বিজেপি। 

Comments :0

Login to leave a comment