Basirhat Incident

বসিরহাট গুলি কান্ডে এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা

জেলা

ছবি: উদ্ধার হওয়া গুলির খোল।

অন্ত্রনালীর বিভিন্ন স্থানে সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার পরেও এখনও সঙ্কটমুক্ত নয় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ সাধারণ ক্রেতা নবীন দাস। তাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আই সি ইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে। গভীর উৎকণ্ঠায় পরিবার। সোমবার এমনটাই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। অন্যদিকে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খতিয়ে দেখে জোর পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে। ২৪ঘন্টা অতিক্রম হতে যাচ্ছে, এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুধু কলেজ পাড়া বলেই নয়। অতীতে কখনও বসিরহাট শহরে এই ধরনের শুট আউটের ঘটনা ঘটে নি। যার কারণে যথেষ্ট আতঙ্কিত বসিরহাট শহরের মানুষ। শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরাই এই শুট আউটের ঘটনার সাথে যুক্ত। বিভিন্ন মহল থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে।
রবিবার রাতে বসিরহাট কলেজ পাড়ায় টাকী রোডের উপর একটি মিষ্টির দোকানে আচমকা ঘটে যায় শুট আউটের ঘটনা। ৫-৬ জনের দুষ্কৃতীদল ৭এম এম পিস্তল থেকে ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। দোকানে মিষ্টি কিনতে এসে সাধারণ ক্রেতা নবীন দাস গুলিবিদ্ধ হন দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে। বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান। ঘটনার পর যথেষ্ট আতঙ্কিত পরিবার। সোমবার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় দোকানপাট খুললেও ক্রেতার সংখ্যা হাতেগোনা। সাধারণ পথচারীদের যথেষ্ট আতঙ্ক নিয়েই যাতায়াত করতে দেখা গেল। ঘটনাস্থলে রবিবার রাতে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও সোমবার সকাল থেকে ঘটনাস্থল ছিল পুলিশ শূন্য। সন্ধ্যা হতেই আতঙ্ক নতুন করে গ্রাস করেছে গোটা কলেজপাড়া। দুষ্কৃতীরা শাসকদলের মদতপুষ্ট। যার কারণে ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ নিশ্চুপ। স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 
রবিবার রাতে ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বসিরহাট থানার পুলিশ ৫টি গুলির খোল উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন কয়েকজন যুবক ওই মিষ্টির দোকান আসে। নলেন গুড়ের সন্দেশের অর্ডার দেয়। সন্দেশ খাওয়ার পর তা নলেনগুড়ের সন্দেশ নয় এই দাবি তুলে শুরু হয় দোকানের মালিকের সাথে বাক বিতন্ডা। শেষে উত্তেজিত হয়ে যুবকের দল দোকান মালিককে মারধর করে। দোকানের কর্মচারীরা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে যুবকের দল চলে যায়। পরে সশস্ত্র অবস্থায় এসে দোকানের মালিকের খোঁজ করে। সেই সময় দোকানের মালিক দোকানে ছিলেন না। উত্তেজিত সশস্ত্র যুবকের দল এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। দোকানের শোকেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। সেই সময় দোকানে মিষ্টি কিনতে এসে গুলিবিদ্ধ হন কলেজ পাড়ারই বাসিন্দা নবীন দাস। তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সশস্ত্র যুবকের দল চলে যাওয়ার সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক বাদে বাকি সরঞ্জাম নিয়ে চলে যায়। হার্ডডিস্ক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করণের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

Comments :0

Login to leave a comment