GAZA FAMINE

‘গাজায় প্রায় ৬ লক্ষ দুর্ভিক্ষ থেকে ঠিক এক পা দূরে’

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ, সেখানেও হামলা ইজরায়েলের।

দুর্ভিক্ষের মুখে গাজার প্রায় ৬ লক্ষ বাসিন্দা। এর বড় অংশই শিশু। খাদ্যের সারিতে দাঁড়ানো মানুষের ওপরও গুলি চালাচ্ছে ইজরায়েলের বাহিনী। সে সময়েই সতর্কবার্তা জারি করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলছে যে কেবল সারিতে দাঁড়ানো মানুষের ওপর গুলি চলছে তা নয়। বস্তত গাজায় খাদ্য ওষুধের মতো জরুরি ত্রাণে সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইজরায়েল। এখনই আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে খেতে না পেয়ে মারা যাবে শিশুরা, মারা যাবেন কয়েক লক্ষ বাসিন্দা। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক বিভাগ ওসিএইচএ রাষ্ট্র সঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের খতিয়ান দিয়েছে। এই বিভাগের প্রধান রমেশ রাজাসিংহম বলেছেন যে অন্তত ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ একেরবারে দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে। কোনও খাদ্য দেওয়া যাচ্ছে না। দুর্ভিক্ষের থেকে ঠিক এক পা দূরে দাঁড়িয়ে এই বিশাল জনসংখ্যা।’’ 
গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভুক্ত শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে। ত্রাণে সারির দৈর্ঘ বাড়ছে। ত্রাণ ছাড়া খাওয়ার আর কোনও উপায় প্যালেস্তাইনের এই শহরে নেই। তার ওপর গাজার দক্ষিণ অংশে মিশর সীমান্তের কাছে রাফায় আগ্রাসী অভিযানের ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।   
গত সপ্তাহে গাজার উত্তর অংশে ত্রাণের সারিতে গুলি চালানোর খবর আসে। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী ইজরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৭৮।  
রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানাচ্ছে গাজায় প্রতি ছয় শিশুর একজন গুরুতর অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এই অনুপাত আরও বাড়বে। এখনই হামলা ঠেকানো না গেলে বিশাল জনসংখ্যাকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বাঁচানে অসম্ভব। 
গাজায় সংঘর্ষ বিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তবে তার রূরেখা একেবারেই অস্পষ্ট। বস্তুত গাজার হামাস নেতারা জানিয়েছেন কোনও লিখিত প্রস্তাব তাঁদের হাতে আসেনি। কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

Comments :0

Login to leave a comment