Indian Billionaire list Forbes

‘বিলিওনেয়ার রাজ’, এক বছরে দেশে ৪১% বেড়েছে মহাধনীদের সম্পদ

জাতীয়

‘বিলিওনেয়ার রাজ’ আবার ধরা পড়ল। এবার ফোর্বস রিপোর্টে। ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি ব্যক্তিগত সম্পদ রয়েছে এমন বিলিওনেয়ারদের তালিকা করেছে ফোর্বস। বিশ্বের এই মহাধনীদের তালিকায় রয়েছে ২০০ ভারতীয়ের নাম। 
ভারতের এই মহাধনীদের সম্পদ এক বছরে ৪১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালে এদের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-এ এক লাফে বেড়ে তার মূল্য হয়েছে ৯৫৪ বিলিয়ন।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর শাসনকে ‘বিলিওনেয়ার রাজ’ বলছেন দেশের বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতানেত্রীই। সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা মনে করিয়েছে, দেশের বিপুল অংশকে সঙ্গত প্রাপ্য থেকে দূরে সরিয়েই চলছে ধনসম্পদ বৃদ্ধির কদর্য প্রদর্শন। এ দেশই ক্ষুধার তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে পিছনের সারিতে। মিড ডে মিল বা অঙ্গনওয়াড়ির মতো শিশু পুষ্টি প্রকল্পে মাথাপিছু খাদ্যের বরাদ্দ নামমাত্র। 
ফোর্বস তালিকা আরও জানাচ্ছে, ভারতে মুকেশ আম্বানির সম্পদের অঙ্ক হয়েছে ১১৬ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের মহাধনীর তালিকায় রিলায়েন্স গোষ্ঠীর প্রধান জায়গা করে নিয়েছেন ৯ নম্বরে। আদানির সম্পদ এক বছরেই বেড়েছে ৩৯.৭৬ শতাংশ। ফোর্বস বলছে, এই প্রথম কোনও ভারতীয় ১০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হলেন। 
আর আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানির মোট সম্পদ ৮৪ বিলিয়ন। 
বিশ্বে সবচেয়ে ধনী বার্নার্ড আর্নল্ড পরিবার। এই পরিবারের মোট সম্পদ ২৩৩ বিলিয়ন ডলার। এরপরই রয়েছেন এলন মাস্ক, সম্পদের মোট পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার। জেফ বেজোসের সম্পদ ১৯৪ বিলিয়ন ডলার, মার্ক জুকেরবার্গের ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। 
ভারতে এবং বিশ্বে এই পর্বই চিহ্নিত ধনবৈষম্যের জন্য। ভারতের ওপরতলার ১ শতাংশের আয়ের ভাগ, এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অংশের চেয়েও বেশি। দেশের ২২ শতাংশ আয় মাত্র ১ শতাংশের হাতে। এই অংশের হাতেই দেশের সম্পদের ৪০ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার কেন্দ্রের আসীন হওয়ার পর থেকে খুব অল্প অংশের হাতে বিরাট আয় এবং সম্পদ্ চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লাফিয়ে। 
এই প্রবণতা ধরা পড়েছিল বিশ্ব অসমতা তথ্যভাণ্ডারের প্রতিবেদনেও। মোদী সরকারের সময়ে বিপুল সম্পত্তিবানদের আরও বৃদ্ধির ছবি হাজির হয়েছিল গত মাসে। বৈষম্য আরও স্পষ্ট করছে নিচের তলার আয় ও সম্পদের ভাগ। আয়ের বিচারে নিচের তলার ৫০ শতাংশের হাতে পৌঁছায় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৫ শতাংশ। ‘বিলিওনেয়ার রাজ’-কেই বৈষম্যের জন্য দায়ী করা হয় বিশ্ব অসমতা তথ্যভাণ্ডারের ওই প্রতিবেদনে।। একশো কোটিতে এক বিলিয়ন।

Comments :0

Login to leave a comment