জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট হলো অন্ধকার বদ্ধ ঘরে। সামান্য এক ঝড় বৃষ্টিতেই কল্যাণীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলে যায়।
রবিবার এই পরীক্ষার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র হয়েছিল কল্যাণীতে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার 'কমপোজিট বিল্ডিং' এ ৯টি ঘরে ৪২০জন পরীক্ষার্থী এদিন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিল। দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ঘরগুলিতে বিদ্যুৎ চলে যায় । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিকল্প কোন ব্যবস্থা রাখেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রি পরীক্ষার সময় এই দুর্যোগ ঘটে। দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। চারটে পর্যন্ত ছিল এই পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবার মিনিট ১৫ আগে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসে।
একপ্রকার অন্ধকার ঘরেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়। শহরের অন্য স্কুলগুলিতে যেখানে এই কেন্দ্র হয়েছিল, সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। যা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
উপস্থিত অভিভাবকরাও জানান, জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট এর মতন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না, যা ভাবাই যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।
এই পরীক্ষার নিয়মও ভাঙা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মলয়েন্দু সাহা জানান, সারা রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তা খুবই দুঃখজনক এবং একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
Comments :0