Kashmir G20

জি২০ বৈঠক কাশ্মীরে, রণ সজ্যায় সজ্জিত সেনা থেকে এনএসজি

জাতীয়

জি২০ কার্যকরী কমিটির বৈঠকের আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল জম্মু-কাশ্মীরকে। সেনা পুলিশের পাশাপাশি এনএসজি ও ম্যারিন কোমান্ডোরা ঘিরে রেখেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের অতি পরিচিত ডাল লেকে শিকারা সরিয়ে স্পিড বোটে ঘুড়তে দেখা যায় জল কমান্ডো যারা মারকোস নামে পরিচিত। পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে এলাকা টহল দিতে দেখা যায় এন এস জি কমান্ডোদের। বৃহষ্পতিবার রাতে লাল চক এলকায় তল্লাসি অভিযান চালায় এন এস জি কমান্ডোরা। 


২০-২৪ মে জি২০ কার্যকরী কমিটির এই বৈঠকে দেশ বিদেশ থেকে প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধির একটি দল আসবে বলে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এডিজি বিজয় কুমার। তার দাবি জি২০ বৈঠককে সন্ত্রাস চালাতে পারে উগ্রপন্থীরা। নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখেই শ্রীনগর এলকায় বেশ কয়েকটি স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে ২৫ মে পর্যন্ত, জানিয়েছেন তিনি। কাশ্মীরি পন্ডিত যারা সরকারি কর্মী তাদেরও ২০-১৫ ছুটি দেওয়া হয়েছে যে কোনও ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা এড়ানোর জন্য। তনি জানান বে সকিছউ জায়গা থেকে উগ্রপন্থী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।


এতো নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কাশ্মীর থেকে দেশের সাধারণ মানুষ। ২০১৯ আগষ্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে রাজ্য থেকে কেন্দ্র শাষিত অঞ্চলে পরিনত হয়েছে কাশ্মীর। সেখানের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বারবার দাবি করে এসেছেন শান্তি ফিরছে কাশ্মীরে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো চিত্র। উগ্রপন্থীদের হাতে নিহত হতে হয়েছে কাশ্মীরি পন্ডিতদের। সেখানেও কোনও নিরাপত্তা দিতে পারেনি মোদী প্রশাসন। তা ছাড়াও বারবারই নিরপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই গুলির লড়াই হয় উগ্রপন্থীদের। সে অর্থে কাশ্মীরে শান্তি স্থাপনে ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদী সরকার। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে জি২০ বৈঠক হলেও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বহর সত্যিই নজরকাড়া

Comments :0

Login to leave a comment