GOOGLE MODI

‘ইন্ডিয়া’-র চিঠির পর গুগল-বৈঠক মোদীর

জাতীয়

‘ইন্ডিয়া’-র চিঠির পর গুগল-বৈঠক মোদীর

সরকারি প্রেস বার্তায় বলা হয়েছে বিনিয়োগ নিয়েই আলোচনা গুগল প্রধানের সঙ্গে। তবে কেবল সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন কিনা স্পষ্ট নয়। 
গুগল এবং মালিক সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের মঙ্গলবারই আলোচনা নিয়ে পোস্ট করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতে গুগলের সম্ভাব্য প্রকল্পগুলি নিয়ে ‘টেরিফিক’ আলোচনা হলো।’’ তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। 
সোমবার অনলাইনে পিচাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদী। বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নির্মাণ, আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স এবং আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।’’
ভারতে বিনিয়োগের দু’টি প্রকল্প নাড়াচাড়া করছে অ্যালফাবেট। কম্পিউটার নির্মাতা এইচপি’র সঙ্গে চুক্তি হয়েছে গুগলের। ভারতে ‘ক্রোমবুক’ নির্মাণ প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী। 


আর্থিক পরিষেবা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গুগল গুজরাটের ফিনান্স টেক সিটি-তে অংশ নিতে আগ্রহী বলে দাবি কেন্দ্রের। তা নিয়েও দু’পক্ষে আলোচনা হয়েছে। গুগলের ‘জি-পে’ এবং ইউপিআই পরিষেবার আওতা ভারতে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলবে বলে দাবি পিচাইয়ের। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধের জেরে চীন থেকে নির্মাণ প্রকল্প সরিয়ে নিতে পারে একাধিক বহুজাতিক। তথ্য প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নির্মাতা সংস্থাগুলি সে ক্ষেত্রে সস্তা শ্রমের জন্য বেছে নিতে ভারতকে। এই মর্মে আশা জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেটেই। বাস্তবে চীন ছেড়ে ভারতে নির্মাণ প্রকল্প সরিয়ে আনার ঘটনা বিশেষ নেই। তার মধ্যে গুজরাটে মাইক্রোচিপ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েও সরে গিয়েছে ফক্সকনের মতো বড় সংস্থা। বেদান্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই প্রকল্প চালানোর কথা ছিল ফক্সকনের। তাইওয়ান ভিত্তিক ফক্সকন অ্যাপলের আইফোনের মতো বিভিন্ন সরঞ্জামের নির্মাতা। একাংশের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে সে কারণেই বড় সংস্থার বিনিয়োগে তৎপরতা দেখাচ্ছেন মোদী। 
গত সপ্তাহেই বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ চিঠি পাঠিয়েছে গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলিকে। সোশাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন পরিষেবায় বিজেপি ও সহযোগী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধী দলগুলি বলেছে, ডিজিটাল পরিসরে নিরপেক্ষতা থাকছে না। বিদেশি সংস্থার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। 
সেই চিঠির পরপরই মোদীর এই বৈঠক।

Comments :0

Login to leave a comment