শুক্রবার মাটিয়া থানা এলাকায় আলেয়া বিবি(৫০) ও তৌরব মণ্ডল(৮) সাপের কামড়ে মারা যায়। চিকিৎসকের দাবি সাপে কামড়ানোর পর দুজনকে প্রথমে ওঝার কাছে গিয়ে ঝারফুক করা হয়, তারপর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় যার জন্য মারা যায় দুজন। দুজনের মৃত্যুর পর আশেপাশের তিনটি গ্রামে আরও ৫ জনের সাপে কামড়ায় সময়মতো হাসপাতালে না পৌঁছানোর ফলে মৃত্যু ঘটে। এরপর তিনটি গ্রামের প্রায় আড়াইশোর বেশি মানুষকে রাতের অন্ধকারে ঘরে, রাস্তায় কিছু একটা কামড় দিচ্ছে। সবাই জ্বালা অনুভব করছেন, কিন্তু কিসে কামড় দিল তা দেখতে পাচ্ছে না। দুজন হাসপাতালে গিয়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। তারপর থেকে ওঝা গুনিনের কাছে ঝাড়ফুঁক করার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এলাকায় একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাপে কামড়াচ্ছে না কিসে কামড়াচ্ছে কেউ দেখতে পাচ্ছে না।
বসিরহাট ২নং বিডিও জানান এলাকায় একটা প্যানিক তৈরি হয়েছে। পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অনান্যদের নিয়ে এলাকায় প্রচার, সচেতনতা শিবির সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আতঙ্ক ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। যুক্তিবাদী মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, বসিরহাট মহাকুমাতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ওঝা এবং গুনিনদের প্রকোপ। ওঝা বা গুণিন নয়, সাপে কাটা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা খুবই জরুরি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। জোর দিতে হবে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে কর্মসূচি নেবার ক্ষেত্রে সরকারি সদিচ্ছার অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজস্ব সাংগঠনিক দায়বদ্ধ থেকে এ কাজ করে চলেছে কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত এবং যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেই দায়িত্ব পালনে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ।
Comments :0