রাজ্যপালকে তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল বিধানসভায়। তারপরই অনলাইন গেম নিষেধের বিলে সই করলেন তামিলনাডুর রাজ্যপাল আরএন রবি।
কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বারবারই উঠেছে রবির বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে নেতা এম স্ট্যালিনও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিধানসভার ভেতরে বাইরে। এই দফায় অনলাইন গেম বিল নিয়ে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা নেয়।
১৩১ দিন আগে বিলটি পাশ হয়েছে তামিলনাডু বিধানসভায়। সরকারি হিসেব, এক বছরের মধ্যে কেবল এ রাজ্যেই ৪৩ জন আত্মঘাতী হয়েছেন অনলাইন গেমে সব খুইয়ে। এর আগে এডিএমকে সরকারও অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণে পাশ করেছিল বিল। কিন্তু চেন্নাই হাইকোর্টের রায়ে সেই আইন বাতিল হয়।
রবি টানা প্রায় ১৩১ দিন সই না করে বিলটি ফেলে রাখার পর নতুন করে বিল পাশ করে ডিএমকে সরকার। এর মধ্যে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানো হয় রাজ্যপালের ভূমিকার নিন্দা করে। দ্বিতীয়বার পাশ বিলে সই করতে দেরি করেননি রবি।
প্রকাশ্যে মন্তব্য করে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা বারবরই করেছেন রবি। আবার ডিএমকে, কংগ্রেস বা বামপন্থীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবাদও জানিয়েছে। সম্প্রতি কার্ল মার্কসকে ঘিরে এক মন্তব্যে প্রতিবাদ করেন বামপন্থীরা। রাজ্যের নাম বদলানোর প্রস্তাব ঘিরেও বিতর্ক তীব্র হয়। হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে গড়ে ওঠা আন্দোলনকেও কটাক্ষ করেছিলেন রবি।
সোমবার স্ট্যালিন বলেছেন, ‘‘বারবার বিল আটকে রেখে বিধানসভার মর্যাদা খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে রাজভবন থেকে। এই প্রবণতা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।’’ এদিন পাশ প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনে বিধানসভার পক্ষে বলা হয়েছে যে রাজ্যপালকে যেন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিলে সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর নতুন অনলাইন গেম নিষেধের আইন তৈরিতে কমিশন গঠন করেছিলেন স্ট্যালিন। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে চান্দ্রুর নেতৃত্বে আইনি দিকগুলি পর্যালোচনা করা হয়।
Comments :0