ফেসবুক লাইভ’ চলতে চলতেই গুলি উদ্ধব থ্যাকারের অনুগামী শিবসেনা নেতাকে। মৃত্যুও সঙ্গে সঙ্গে। মহারাষ্ট্রে তোলপাড় ফেলা এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ইস্তফার দাবি উঠল। দাবি তুললেন প্রবীণ এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার।
পরপর দুই রাজনৈতিক হত্যায় বড় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের বিজেপি জোট সরকার। গত সপ্তাহেই বিজেপি’র এক বিধায়ক থানার মধ্যে গুলি করেন জোট শরিক শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীর নেতাকে। সেই গুলিকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়েও পড়ে।
বৃহস্পতিবার শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা অভিষেক ঘোসলকরকে গুলি করা হয় ‘ফেসবুক লাইভ’ চলতে চলতেই। হত্যাকারী মরিস নারোনহার সঙ্গে বিবাদ আগে থেকেই ছিল ঘোসলকরের। মুম্বাইয়ের আইসি কলোনিতে নারোনহার দপ্তরেই চলছিল লাইভ। দু’জনের একত্রে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়ার কথা ছিল। আচমকা রিভলবার বের করে গুলি চালাতে দেখা যায় নারোনহাকে। নারেনহা নিজেকেও গুলি করে। মৃত্যু হয় দু’জনেরই।
অভিষেক শিবসেনার প্রাক্তন বিধায়ক বিনোদ ঘোসলকরের পুত্র। পুলিশ বলেছে, নারোনহা এবং অভিষেকের ‘পুরনো শত্রুতা’ ছিল। শত্রুতার অবসানের বার্তা দিতে ফেসবুক লাইভের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
শিবসেনা উদ্ধব থ্যাকারে গোষ্ঠীর সাংসদ সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ, নারোনহার সঙ্গে চার দিন আগে সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। তিনি ফড়নবিশের পাশাপাশি শিন্ডের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট থেকে শিবসেনা এবং এনসিপি’র দু’টি অংশকে ভেঙে বেরিয়ে বিজেপি’র হাত ধরে সরকার চালাচ্ছে। এনসিপি’র ভেঙে বেরনো গোষ্ঠীর নেতা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার ভেঙে বেরনো অংশের নেতা একনাথ শিন্ডে।
Comments :0