Sheikh Hasina

বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার লড়াই চলবে বললেন হাসিনা

আন্তর্জাতিক

ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে চলছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া। ৪৫৩ পাতার রায় পড়ে শোনাচ্ছেন বিচারপতি। একদিকে যখন গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চাপা উত্তেজনা তখন অডিও বার্তায় মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘একটি রায়কে হাতিয়ার করে তারা (বর্তমান সরকার) বিভিন্ন কথা বলতে পারে। আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবো। আমি আমার বাবা মাকে হারিয়েছি, ভাই বোনদের হারিয়েছি।’’
হাসিনা অভিযোগ করেন মুহাম্মদ ইউনুস সরকার আওয়ামী লিগকে শেষ করে দিতে চায়। তার কথায় আওয়ামী লিগ লড়াই করে উঠে এসেছে তাকে শেষ করা যাবে না। হাসিনার কথায় বাংলাদেশের মানুষ ইউনুস সরকারের নীতি এবং কাজ কর্মের বিরুদ্ধে তাদের রায় দেবেন। 
বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশে নতুন করে অশান্তি তৈরি করার জন্য একের পর এক দাবিকে কেন্দ্র করে সরকারের সাথে সংঘাতে নামে আন্দোলনকারিরা। 
গতবছর জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামেন ছাত্ররা। ‘ছাত্র সমাজ’ নাম ব্যবহার করে চলতে থাকে আন্দোলন। সেই আন্দোলন দমন করতে কঠোর হয় হাসিনা সরকার। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় অনেকের। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। গণভবনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন আন্দোলনকারিরা। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বোন রেহানাকে গিয়ে ভারতে আসেন তিনি। তারপর থেকে আর প্রকাশ্যে আসেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর গণভবনের দখল নেয় আন্দোলনকারিরা। চলতে থাকে অবাধে লুঠ। ভাঙা হয় ৩২ ধানমুন্ডী। এক কথায় বলা যেতে পারে ইউনুস সরকারের আমলে বার বার বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত নামিয়ে আনা হয়েছে।
এই অডিও বার্তায় গনভবনে লুঠের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে হাসিনা। যারা গণভবনে লুঠ চালিয়েছে তারা কখনও আন্দোলনকারি হতে পারে না। গণভবন সরকারি সম্পত্তি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেকার বাড়ছে। কারখানা বন্ধ হচ্ছে। ব্যাঙ্ক লুঠ করছে। আওয়ামী লিগের কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এই সব কিছুর থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment