Delhi Blast and Modi

বিশ্বগুরুর রহস্যজাল

সম্পাদকীয় বিভাগ

দিল্লির লাল‍‌ কেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ, যার জেরে ১৩জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেটা কি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি তার পেছনে আছে সন্ত্রাসবাদী যোগ। মোদী সরকার এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বা জানাতে চায়নি। মোদী জমানায় এবং তার আগেও এমন যে কোনও ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি-কে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে সোচ্চার হতে দেখা যেত। এমন কি কোনও কিছু জানা বোঝার আগেই তার পেছনে পাকিস্তানের যোগ আছে বলে দাবি করত। জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ঘটলেই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কাজ বলে সরকারি ও শাসক দলের পক্ষ থেকে আগ বাড়িয়ে বলে দেওয়া হতো। আশ্চর্যজনকভাবে দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনার পর সরকার বা দল কোনও মহল থেকেই কোনও মন্তব্য নেই। কেউ বলছে না এটা সন্ত্রাসবাদীদের কাজ বা এর পেছনে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা আছে।
এত বড় এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর তাকে নিছক দুর্ঘটনা বলেও চালানো যাচ্ছে না। তাতে প্রশ্ন উঠতেই পারে এত বিস্ফোরক কোথা থেকে কীভাবে এল। তাছাড়া সন্ত্রাসবাদীদের কাজ বা পাক যোগের কথা বলাতেও বিপদ আছে। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর তার পেছনে পাক যোগের অভিযোগে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান অপারেশন সিদুঁর চালিয়েছিল ভারত। তখনই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দেশের নয়া নীতি ঘোষণা করে বলেছিলেন এখন থেকে যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলেই গণ্য করা হবে। অর্থাৎ সেই যুদ্ধের মোকাবিলা হবে যুদ্ধের মাধ্যমেই। অর্থাৎ দিল্লির বিস্ফোরণ যদি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলে বিবেচিত হয় তাহলে সেটা মোদী ঘোষিত নয়া নীতিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলেই ধরতে হবে এবং তার মোকাবিলায় বা বদলায় এখনই ভারতকে যুদ্ধে যেতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে যুদ্ধে যাবার মতো বাস্তব অবস্থা ভারতের আছে কি? যুদ্ধে যদি যেতে হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেতে হবে। কারণ, ভারত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পেছনে পাকিস্তান ছাড়া আর কোনও দে‍‌শের মদত আছে বলে শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন রাষ্ট্রপতির অন্তত ৬০ বারের দাবি অনুযায়ী অপারেশন সিদুঁর থামিয়েছেন তিনি। দু’দেশের নেতাকেই বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে যুদ্ধ থামিয়েছিল বলে তার দাবি। এই সেদিনও বলেছেন ভারত তাঁর কথা মতো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে। তাই শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় মোদীর সাহস আছে কি নতুন করে যুদ্ধে যাবার? যদি যুদ্ধে না যেতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে নয়া নীতি ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়। তবে যুদ্ধে যান বা না যান মোদী সরকারকে বলতে হবে ফরিদাবাদে তিন হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক এল কোথা থেকে কোন পথ দিয়ে। ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দিনভর দিল্লিতে ঘুরে বেড়াল কীভাবে অমিত শাহ-র অধীন দিল্লির পুলিশ. জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ, সিআরপিএল এবং বিএসএল কি ঘোড়ার ঘাস কাটছিলেন? নাকি তারা জেনে নীরব ছিল?

Comments :0

Login to leave a comment