'Bangla Bachao Yatra'

বামপন্থার পুনরুত্থানের লক্ষ্যেও প্রচার গড়বে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’, বললেন সেলিম

রাজ্য

দেশকে বাঁচাতে হলে তার পূর্বশর্ত বাংলাকে বাঁচানো। বাংলাকে বাঁচাতে চাই বামপন্থার পুনরুত্থান। তার জন্য বামপন্থীদের ঐক্য জরুরি। ২৯ নভেম্বর থেকে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ প্রচার গড়বে সেই সংগ্রামের লক্ষ্যে।
বুধবার কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই মর্মে বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে এসে মিশবে এই যাত্রা। সেলিম বলেন, ‘‘নয়া ফ্যাসিবাদের আক্রমণের চলছে দেশজুড়ে। এসআইআর’র নামে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত সেই আক্রমণের অংশ।’’ তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা-স্বাস্থ্য, জীবিকা ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতিও। তাকে রুখতে হলে বামপন্থীদের ঐক্য গড়তে হবে। ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ বামপন্থীদের ঐক্য গড়ারও ডাক দিচ্ছে।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। তাকে বিকশিত করার জন্য, বামপন্থী ঐক্যকে দৃঢ় করার জন্য আলোচনা এগচ্ছে। বাংলাকে বাঁচাতে হবে দেশকে বাঁচাতে হলে। তার জন্য বাংলায় বামপন্থার পুনরুত্থান প্রয়োজন। বিভিন্ন অংশকেই আহ্বান জানিয়েছে, তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। 
আমাদের শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদ লুট হচ্ছে। বাংলা বাঁচাও যাত্রা মানে স্কুল বাঁচাও কলেজ বাঁচাও কৃষি-শিল্প বাঁচাও, মহিলাদের বাঁচাও, সংখ্যালঘু-মতুয়া, প্রতিবন্ধী প্রান্তিক অংশকে বাঁচাতে হবে। প্রকৃতির লুট বন্ধ করতে হবে।’’ 
বাংলায় বামপন্থার পুনরুত্থানের লক্ষ্য এদিনও জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র সূচিও।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেলিম বলেন, ‘‘দেশকে বাঁচাতে হলে তার পূর্বশর্ত বাংলা বাঁচানো। বাংলাকে বাঁচাতে চাই বামপন্থার পুনরুত্থান। নয়া ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই জরুরি। বাংলার স্কুল কলেজ, কৃষি-শিল্প, মহিলাদের অধিকার, সংখ্যালঘু-মতুয়া, প্রতিবন্ধী প্রান্তিক অংশের অধিকারকে বাঁচাতে হবে। বাংলার সম্পদ ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে ঐক্য গড়ে তোলার ডাকই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।’’
২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে এই যাত্রার শুরু। ১৭ ডিসেম্বর কলকাতার উপকণ্ঠে কামারহাটিতে শেষ। কলকাতা থেকে পদযাত্রা কামারহাটিতে এসে মিশবে। মশাল মিছিলও হবে কামারহাটি অভিমুখে।
প্রাথমিক স্তরে লিফলেটে বিলি, দেওয়াল লিখন, পোস্টারের মাধ্যমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে  গেছে। 
২৮ তারিখ কোচবিহারে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মাকে স্মরণ, আব্বাসউদ্দিনকে স্মরণ করার পর ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র মূল কর্মসূচি। তাদের জন্মস্থানেও নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচি চালানো হবে। এর মাধ্যমে লোক সংস্কৃতির, বাংলার পরম্পরাকে বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে আব্বাস উদ্দিনের বাড়ির সংরক্ষণ ও ভাওয়াইয়া গানের চর্চাকেও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।   
তুফানগঞ্জ থেকে বেরিয়ে সেদিনই আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা অবধি। পরের দিন ওখান থেকে ধুপগুড়ি,ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি,  হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত তার পর উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা হয়ে ডালখোলা, করণদিঘি হয়ে মিছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে ঢুকবে। 
১৭ তারিখ কলকাতার উপকণ্ঠে কামারহাটিতে যাত্রা শেষ হবে। সেদিন পদ যাত্রার সাথে সাথে বিভিন্ন রকম ছোট ছোট মিছিল এসে মূল কর্মসূচিতে যোগ দেবে।   
সেলিম জানান, পাশাপাশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে রোজই চলছে এই সংক্রান্ত প্রচার কর্মসূচি।

Comments :0

Login to leave a comment