দীর্ঘ ১৮ বছর পর পর্তুগাল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখে খেলতে নেমেছিল। যা রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারদের কাছে একপ্রকার অপমানজনক! তাঁর পরিবর্তে নামা গোঞ্জালো রামোস খেলছেন।
গোল করছেন। তাঁর দল জিতছে। বিশ্বের সর্বাধিক গোলদাতা মাঠের বাইরে বসে দেখছেন। সেদিন টিভি ক্যামেরা বারবার রোনাল্ডোকে ধরছিল। রোনাল্ডোর মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট ছিল। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন। গোলও করেছিলেন, সেই গোল বাতিল হয়ে গিয়েছিল অফসাইডের জন্য।
রোনাল্ডোকে ছাড়াই সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬-১ পর্তুগাল জেতায়, এবং সিআরের পরিবর্ত হিসাবে নামা সেই র্যা মোস হ্যাটট্রিক করায়, সুবিধেই হলো পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্তোসের। যিনি রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। যে জন্য স্যান্টোসকে প্রবল সমালোচিত হতে হয়েছিল। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে স্যান্টোস আবার হয়তো রোনাল্ডোকে মাঠের বাইরেই রাখবেন। র্যা মোসের উপর ভরসা রয়েছে পর্তুগালের কোচের। র্যা মোস সম্পর্কে স্যান্টোস বলেছেন, ‘র্যা মোস গতিশীল স্ট্রাইকার।’ ফলত, রোনাল্ডোকে ছাড়াই বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা।
যার জন্য বিশ্বকাপের জৌলুস কিছুটা হলেও কমবে। এমনিতেই রোনাল্ডোর এটাই শেষ বিশ্বকাপ! অন্তিম বিশ্বকাপে এমন অবস্থা হবে, রোনাল্ডো হয়তো নিজেও ভাবতে পারেননি। জোয়াও ফেলিক্স, ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা অবশ্য সিআর সেভেনের পাশেই আছেন। জোয়াও ফেলিক্স বলছেন, ‘অপরিবর্তনীয়।’ ব্রুনোর কথায়, ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে রোনাল্ডো সবচেয়ে বিখ্যাত।’
কিন্তু এখন ব্যাপারটা হলো, রোনাল্ডো ছাড়া কি মরক্কোর বিরুদ্ধে জিততে পারবে পর্তুগাল? প্রশ্ন থাকছেই। মাঠে রোনাল্ডো থাকা মানে বিপক্ষ ডিফেন্সের উপর চাপ তৈরি হওয়া। সিআর সেভেনের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। মরক্কো শেষ দশটি ম্যাচে অপরাজিত। কোনও গোল খায়নি। তাঁদের রক্ষণ ভাঙা অত সহজ হবে না। আর মরক্কো ডিফেন্ডাররা লম্বা-চওড়া। গা জোয়ারি ফুটবল খেলে। তাই, মরক্কোর বিরুদ্ধে র্যামমোস বড় চ্যালেঞ্জের মুখে! এবং স্যান্টোসও কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেও চোখ থাকবে।
Comments :0