SC ABHISHEK

অভিষেকের জেরা আটকাতে জরুরি
শুনানিতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য

ইডি, সিবিআইয়ের জেরা এড়ানোর মামলা জরুরি ভিত্তিতে শুনতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সরকারি কোনও পদে না থাকলেও তৃণমূলের সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর জেরা আটকানোর মামলায় পক্ষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আইন বিষয়ক পত্রিকা ‘লাইভ ল’ জানাচ্ছে যে সরকারের পক্ষে সুনীল ফার্নান্ডেজ জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার আবেদন জানিয়েছিলেন। দায়ের করেন স্পেশাল লিভ পিটিশন। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির দিন ঠিক করার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চের দুই বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া এবং কেএন বিশ্বনাথন জরুরি ভিত্তিতে শুনানির কোনও তারিখ ঘোষণা করতে রাজি হননি। 

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষই প্রকাশ্যে অভিষেক ব্যানার্জির প্রসঙ্গ তোলেন। অভিষেকও ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচিতে বলেন তাঁর নাম বলার জন্য কুন্তলকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কুন্তল যুব তৃণমূল নেতা এবং সম্পত্তি বেড়েছে অস্বাভাবিক দ্রুততায়। শিক্ষক নিয়োগের জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। 

এই মামলার গুরুত্ব বেড়েছে ‘অভিষেক ব্যানার্জির সংস্থার কর্মচারী’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ বা ইডি গ্রেপ্তার করার পর। সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই কুন্তল টাকা জমা দিতো, সুজয়কৃষ্ণকে বলত ‘কালীঘাটের কাকু’। কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এই অভিযোগ জানান আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। দেরিতে হলেও সরাসরি তৃণমূলের সদর দপ্তরের কাছে পৌঁছেছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।  

ইডি’র জেরা এড়াতে এর আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে অভিষেকের পক্ষে বদল করা হয় বিচারপতি। বিচারপতি বদলেও জেরা এড়ানোর আবেদনে স্বস্তি মেলেনি। একই আবেদন বহাল রেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল যে কেন কোনও একজন নাগরিক প্রশ্নের জবাব দেবেন না। এর পর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও সুরাহা হয়নি। 

সুপ্রিম কোর্টে এবারের তৎপরতা সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারির পর বলেই জানা যাচ্ছে। এর আগে ২০ মে সিবিআই দপ্তরে অভিষেকের ৯ ঘন্টা জেরা হয়। ‘বোগাস’ অভিহিত করলেও অভিষেক জানাতে পারেননি জেরা আটকাতে কলকাতা-দিল্লির উচ্চ আদালতে এই ছোটাছুটি কেন। বরং স্বীকার করে ফেলেন যে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ চক্রের একাধিক দালালের নাম করে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। 

Comments :0

Login to leave a comment