HAWKERS JALPAIGURI

জলপাইগুড়িতে বিপন্ন হকারদের সঙ্গে দেখাও করলেন না মহকুমা শাসক

জেলা

শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদরে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে হকাররা।

দিনের পর দিন রাস্তায় বসতে পারছেন না জলপাইগুড়ির হকাররা। ১৩ জুন থেকে শহরে শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ বন্ধ রাখার দাবি নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়েছিলেন হকাররা। অথচ বিপন্ন এই নাগরিকদের কথা শোনার সময়টুকুও দিলেন না মহকুমা শাসক। 
প্রশাসনের মনোভাবে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে সিআইটিইউ অনুমোদিত  স্ট্রিট ভেন্ডার ও হকার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন নিয়োগী বলেন, ‘‘এক বছরের বেশি সময় আগে জলপাইগুড়ি পৌরসভায় শহরের সমস্ত হকার, ইউনিয়ন ও প্রশাসনের মিটিংয়ে ঠিক হয় শহরের সমস্ত হকারদের তালিকা তৈরি করে পরিচিতি পত্র দেওয়া হবে। আইন অনুসারে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠিত হবে । বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা হবে না। অথচ এতদিনে কিছুই করেনি প্রশাসন। লোকসভা ভোট মিটতেই হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। প্রায় এক সপ্তাহ রাস্তায় দোকান বসাতে পারছেন না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরান্যায্য দাবি পৌরসভার প্রশাসনিক প্রধান সদর মহকুমা শাসকের কাছে জানাতে এসেছি। অথচ উনি এত ব্যস্ত এই খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোর কথা শোনার সময় নেই।’’
শহরের রাস্তার পাশে ছোট দোকান নিয়ে বসা অপরাজিতা রায়, ধর্মা রায়, কৃষ্ণ কুমার মোহন্তে মতো গত কয়েকদিন ধরে দোকান করতে না পারা শহরের হকাররা ছিলেন বিক্ষোভে। যাঁরা দোকান দিয়ে বসছেন তারাও ভয়ে ভয়ে থাকছেন সবসময়।   
১৩  জুন থেকে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হকারদের  তাদের মালপত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয় বলা হয়। ২১ জুন পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ২৭ জুন বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়। 
হকার ইউনিয়ন বলেছে, ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় আইন এবং ২০১৮ সালের রাজ্য সরকারের আইন দ্রুত চালু করতে হবে। হকার্স কর্নার গঠন, টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করতে হবে। 
শুক্রবার মহকুমা শাসক স্মারকলিপি গ্রহণ না নেওয়ায় রাস্তায় দাবি জানিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিকল্প না করে কোনোভাবেই হকার উচ্ছেদ করা যাবে না, বিক্ষোভে আওয়াজ তোলেন শহরের শহরের হকাররা। জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোড, দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, সমাজ পাড়া,রায়কত পাড়া সহ শহরের সমস্ত এলাকার হকাররা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মহকুমা শাসক দেখা না করলেও স্মারকলিপি নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। ব্যবস্থা না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment