রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের তামাসা আর সহ্য করা হবে না। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলো আদিবাসী সমাজ।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগের দিনই, বুধবার, শালবনীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আদিবাসী পড়ুয়ারা। এদিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ সভা।
রাত পর্যন্ত অবরোধ চলছে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ধামসা মাদলে পেট ভরে? না শিক্ষার পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়। আবাসিক হোস্টেল বন্ধ,পড়ুয়াদের স্টাইপেন্ড বন্ধ। পড়ুয়ারা বলেছে, আর প্রতারণা মানবো না। জঙ্গলমহলে আদিবাসী ও তপশিলি জনজাতির পড়ুয়াদের আবাসিক শিক্ষার অধিকার, সাঁওতালি ভাষার শিক্ষার পরিকাঠামো করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
শালবনীতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এদিন বিক্ষোভে করছেন আদিবাসী ও তপশিলি ছাত্রছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের কলেজ ময়দানে সরকারি সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বুধবার বিকেলে তিনি মেদিনীপুর শহরে পৌঁছে গিয়েছেন। ৮ কোটি টাকা খরচ করে কলেজ ময়দানে চোখ ধাঁধানো সাজসজ্জার আয়োজন। গ্রামীণ প্রকল্পের সঙ্গে ধামসা মাদল, সাইকেল বিলির কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই কারণে জেলার তিনটি মহকুমা থেকে সাড়ে সাতশো বাস ভাড়া করে আজ থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে জনতা বলেছে, আদিবাসীদের ধামসা মাদল দিয়ে ভুলানো যাবে না। চাই খাদ্য, কাজ চাই। একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি মেটানো চাই। আদিবাসী ও তপশিলি জনজাতির বন্ধ হয়ে যাওয়া ৭২ টি স্কুল ও কলেজের আবাসিক হোস্টেল চালু করতে হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ স্তরে অলচিকি হরফের শিক্ষার পরিকাঠামো করতে হবে।
Comments :0