বন্ধ করতে হবে তিস্তার ওপর নির্মাণ। নতুন করে বাঁধ তৈরি করা যাবে না উত্তরবঙ্গের অন্যতম এই প্রধান নদীর বুকে। নদী নিয়ে অবৈজ্ঞানিক কার্যক্রম বাতিল করতে হবে। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিস্তা বাঁচানোর আহ্বানে এই দাবিতেই সই সংগ্রহ করল সামাজিক সংগঠন ‘আভিমুখ’। রবিবার জলপাইগুড়ির কদমতমায় জনতার সই নেওয়া হয়েছে দাবির সপক্ষে। বিলি করা হয়েছে লিফলেট।
এর আগে জলপাইগুড়ি শহর ও আলিপুরদুয়ারে নাগরিক কনভেনশন করেছে এই সংগঠন। নাগরিকদের পক্ষে এই সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে ‘তিস্তা অববাহিকা উন্নয়ন বোর্ড ' তৈরি করতে হবে দ্রুত। তিস্তার উপর সমস্ত নির্মাণ কাজের পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্যায়ন করতে হবে।
সংগঠনের তরফে সুকল্যাণ ভট্টাচার্য ও প্রশান্ত নাথ চৌধুরী জানান বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের সঙ্গে ‘অভিমুখ’-র যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৬ নভেম্বর জলপাইগুড়ি স্টুডেন্ট হেলথ হোম প্রেক্ষাগৃহে শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা 'করলা' নদী বাঁচাতে এক নাগরিক কনভেনশনের আহ্বান করা হয়েছে। তিস্তা ও করলা নদীকে নিয়ে জলপাইগুড়ির মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই আবেগের প্রতিফলন আজ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে দেখা গিয়েছে।
প্রশান্ত নাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘গত ৪ অক্টোবরে সিকিমে তিস্তা নদীর ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে।’’ জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সই নিয়ে দাবিপত্র কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও রাজ্যের সেচ দপ্তরের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান সুকল্যাণ ভট্টাচার্য।
জলপাইগুড়ি র বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি গৌতম গুহ রায়, অধ্যাপক রূপন সরকার, শিল্পী ডালিয়া রায় চৌধুরী, পার্থ ব্যানার্জি সই সংগ্রহে অংশ নেন। দুই নদী বাঁচানোর লড়াই দানা বাঁধছে, উৎসাহ বাড়ছে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের।
SAVE TEESTA KOROLA JALPAIGURI
তিস্তা, করলা বাঁচাতে পুরোদমে আন্দোলনে জলপাইগুড়ি
×
Comments :0