Communists

ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের দৃঢ় প্রহরী কমিউনিস্টরা

বিশেষ বিভাগ

১৯২০-র ১৭ অক্টোবর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পালনের শেষ পর্যায়ে রয়েছি আমরা। কোভিড-১৯ মহামারী, দীর্ঘায়িত লকডাউন, শারীরিক দূরত্বের বিধিনিষেধের জন্য যেভাবে আমরা ভেবেছিলাম, সেই মাত্রায় শতবার্ষিকী পালন করা যায়নি। যদিও এই সীমবদ্ধতার মধ্যেও ভার্চুয়াল মিডিয়া এবং ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবহার করে পার্টি গত এক শতাব্দী ধরে ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে কমিউনিস্টদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে।
অ্যাজেন্ডা গঠন
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে এবং পরবর্তীকালে অসংখ্য বিপ্লবী এবং শহীদের বিপুল আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে পার্টির নেতৃত্বে গৌরবময় সংগ্রামে ভারতের ইতিহাসের বিকাশে অবদান রেখেছে। জনগণের প্রকৃত সমস্যা ও ইস্যুকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে কমিউনিস্ট পার্টি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। 
ভারতের বিপুল বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আমাদের দেশে যে বহু ভাষা রয়েছে তার স্বীকৃতি ও সমতার নিশ্চয়তাকে তুলে ধরার সংগ্রাম বিভিন্ন অংশের ভাষাভিত্তিক পুনর্গঠনের সংগ্রাম অন্যানধ,দের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃতবেও পরিচালিত হয়েছে। দেশজুড়ে কমিউনিনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে জমির লড়াই ভূমি সংস্কারের প্রশ্নকে জাতীয় অ্যাজেন্ডায় পরিণত করেছে। সংকীর্ণ ও বিভাজনবাদী জাতীয়তাবাদের বদলে সকলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদের বিকাশে কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
দৃষ্টিভঙ্গির  লড়াই
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েই তিন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অবিরত সংগ্রাম থেকে সকলকে নিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদের ধারণার জন্ম হয়েছে। কংগ্রেসের মূলস্রোতের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল স্বাধীন ভারত হবে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র। কমিুণিস্টরা এই পর্যন্ত একমত হয়েও এগিয়ে বলেছে এই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র টিঁকবে না যদি ভারত পুঁজিবাদী বিকাশের পথ নেয়। কমিউনিস্টরা মনে করেছে অর্জিত রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে সকল ভারতীয়ের আর্থ-সামাজিক স্বাধীনতায় প্রসারিত করতে হবে। যা শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রেই সম্ভব। 
এই দুই দৃষ্টিভঙ্গিরই বৈরি একটি তৃতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তারা মনে করত স্বাধীন ভারতের চরিত্র নির্ধারিত হওয়া উছিত জনগণের ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে। এই দৃষ্টিভঙ্গির যমজ বহিঃপ্রকাশ ছিল একদিকে মুসলিম লিগ ‘ঐস্লামিক রাষ্ট্র’ গঠনের সওয়াল করছে, অন্যদিকে আরএসএস ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গঠনের সওয়াল করছে। দেশের দুঃখজনক বিভাজনে প্রথম ধারণা সফল হয়। তাকে নির্মাণ করা, মদত দেওয়া, বিকশিত করার পিছনে ব্রিটিশদের ভূমিকা ছিল। যার ফলাফল আজ পর্যন্ত উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে। স্বাধীনতার সময়ে হিন্দু রাষ্ট্র প্রবক্তারা সফল হতে পারেনি কিন্তু স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতকে তাদের ধারণা অনুযায়ী খোলাখুলি অসহিষ্ণু ফ্যাসিবাদীসুলভ হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা তারা চালিয়ে গেছে। 
স্পষ্টতই, আজকের মতাদর্শগত সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এক অর্থে এই তিন দৃষ্টিভঙ্গির লড়াইয়েরই প্রতিফলন। 
ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র সকলকে নিয়ে ভারত গড়ার কমিউনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রকে পৃথক বলে না ভাবা। ভারতের বাস্তবতায় তারা অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। গণতন্ত্রের অবশ্যপ্রয়োজনীয় উপাদান হল ভারতের সমস্ত বৈচিত্র্যকে সুরক্ষা ও সমতা দেওয়া, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনই গণতান্ত্রিক অধিকার ও নাগরিক অধিকার ছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। বস্তুত অর্থনৈতিক রাজনৈতিক, সামাজিক সমতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা সজীব গণতন্ত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। অতীতে এবং আজও কমিউনিস্টরা ভারতে এই ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকে উর্ধ্বে তোলার কাজে সবচেয়ে দৃঢ়। 
১৯২০সালে সিপিআই গঠনের পরপরই ১৯২০-র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির তরফে এম এন রায় লিখেছিলেন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের একমাত্র প্রতিষেধক হল সমস্ত জাত-সম্প্রদায়ের শ্রমজীবী মানুষের শ্রেণি ঐক্য। গোটা শতাব্দীজুড়েই কমিউনিস্টদের কাজের মূল জোরই হল মেহনতীর ঐক্য শক্তিশালী করা। 
১৯২০-তে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রত্যেক বার্ষিক অধিবেশনে সিপিআই জাতীয় আন্দোলনের কর্মসূচি কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে ইশ্‌তেহার পেশ করেছে ( ১৯২১-এ আমেদাবাদ, ১৯২২-এ গয়া, প্রভৃতি)। 
১৯২৬-এ গুয়াহাটি অধিবেশনে পেশ করা ইশ্‌তেহার সুনির্দিষ্টভাবে দেশের ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক সংঘাত সম্পর্কে আলোচনা করেছিল। শ্রমজীবীদের ঐক্য শক্তিশালী করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশনকে আহ্বান জানিয়ে ইশ্‌তেহারে বলা হয়েছিল: 
‘‘গত কয়েক বছর দেশে যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত চলছে তাতে অনেকে নিশ্চয়ই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। সত্যই তা হতাশাজনক ঘটনা। কিন্তু এখানে জনগণের পার্টি সমাধান খুঁজে পাবে। উচ্চবিত্ত শ্রেণি অধিকার ও সুযোগসুবিধার জন্য লড়াই করছে, তখন উভয় সম্প্রদায়ের জনগণের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অভিন্নতা রয়েছে। তা হল শোষণ। হিন্দু ও মুসলিম শ্রমিকরা একই কারখানায় ঘাম ঝরায়। হিন্দু ও মুসলিম কৃষক পাশাপাশি জমিতে শ্রম দেয়, জমিদার, মহাজন, সাম্রাজ্যবাদের এজন্টরা তা চুরি করে। মুসলিম মালিক মুসলিম শ্রমিককে বেশি নজুরি দেয় না। হিন্দু জমিদার মুসলিম কৃষকের তুলনায় হিন্দু কৃষকের কাছ থেকে কম খাজনা নেয় না। 
‘‘শোষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণিগুলির ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই নিয়ম খাটে ( ছোট বুদ্ধিবৃত্তির মানুষ, ছোট ব্যবসায়ী, কারিগর প্রমুখ)। শোষণের বন্ধনে আবদ্ধ ৯৮ শতাংশ মানুষের সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁদের অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে তাঁদের সাহায্য করুন, অভিন্ন শত্রু শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহসী নেতৃত্ব দিন, সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাধানোর প্ররোচনামূলক নীতির ভিত্তিই ধসে যাবে। এটা ঠিক যে রাতারাতি তা করা যাবে না। কিন্তু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জীবনীশক্তি ক্ষয় করা সাম্প্রদায়িকতার দুষ্টক্ষতের মোকাবিলার অন্য কোনো উপায় নেই।’’
ধর্মনিরপেক্ষতা
কমিউনিস্টদের নীতিগত অবস্থান হল: ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ রাজনীতি থেকে ধর্মকে পৃথক করা। এর অর্থ হলো রাষ্ট্র ব্যক্তির ধর্মবিশ্বাস বেছে নেবার অধিকারকে দৃঢ়ভাবে সুরক্ষা দেবে কিন্তু রাষ্ট্র কোনো একটি ধর্মের প্রচার করবে না, অগ্রাধিকার দেবে না। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে বাস্তবে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে সব ধর্মের সমতা। এর মধ্যে সংখ্যাগুরুর ধর্মের প্রতি পক্ষপাত অন্তর্নিহিত রয়ে গেছে। বস্তুত এর ফলে আজকের সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তিগুলির প্রচারে জ্বালানি যোগাড় হয়। 
সুতরাং কমিউনিস্টদের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র রক্ষা শুধুমাত্র ভারতের সম্মিলিত জাতীয়তাবাদ ও ভারতীয় সংবিধানকে রক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সমতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তাকে বাস্তবায়নের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এসবই গণতন্ত্রের মর্মবস্তু। কিন্তু এই সঙ্গেই সবচেয়ে শোষিত শ্রেণিগুলির শ্রেণি ঐক্য জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে যা জরুরী। সাম্প্রদায়িকতা এই ঐক্যকেই বিপর্যস্ত করে, ভারতের ইতিহাসকে পশ্চাদমুখী, পশ্চাদপদতার অভিমুখে টেনে নিয়ে যায়।
ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় সংগ্রাম 
২০০০-এ সিপিআই(এম) পার্টি কর্মসূচিতে আরএসএস এবং বিজেপি-র তরফে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের বিপদ সম্পরকে বলা হয়েছিল : ‘‘সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিস্ত ধাঁচের আরএসএস পরিচালিত জোটের শক্তিবৃদ্ধি ও কেন্দ্রে তাদের ক্ষমতাদখলের ফলে ধর্মনিপেক্ষতার ভিত্তির বিপদ গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহ, প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রচারমাধ্যমের সাম্প্রদায়িকীকরণের পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে।’’ (প্যারা ৫.৭) 
পার্টির কর্তব্য হিসাবে কর্মসূচিতে বলা হয়েছিল: ‘‘ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ওপরে ভর করে যে ফ্যাসিস্ত প্রবণতা বিস্তারলাভ করছে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সর্বস্তরে দডঢ়তার সঙ্গে লড়াই চালাতে হবে।’’ (প্যারা ৫.৮) 
বিজেপি সরকারে থাকলে ভারতের সাংবিধানিক ব্যবস্থার কী গুরুতর বিপদ হতে পারে, তার উল্লেখ করে বলা হয়েছিল: ‘‘বিভেদকামী ও সাম্প্রদায়িক মঞ্চের ভারতীয় জনতা পার্টি একটি প্রতিক্রিয়াশীল দল। তাদের প্রতিক্রিয়াশীল মর্মবস্তুর ভিত্তি হল অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদী জাত্যভিমান। বিজেপি কোনো সাধারণ বুর্জোয়া দল নয়, কেননা ফ্যাসিস্ত ধাঁচের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক শঙ্গ তাদের পরিচালনা করে, আধিপত্য করে। বিজেপি ক্ষমতায় আসায় রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সংস্থায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে আরএসএস। হিন্দুত্ব মতাদর্শ পুনরুত্থানবাদকে মদত দেয়, হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতের মিশ্র সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে।’’ (প্যারা ৭.১৪) 
কর্পোরেট সাম্প্রদায়িক আঁতাত
২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করার সময়ে সিপিআই(এম) কেনডদ্রীয় কমিটি উল্লেখ করেছিল যে ভারতীয় শাসক শ্রেণি এখন কর্পোরেট সাম্প্রদায়িক আঁতাত শক্তিশালী করেছে যা যারা ক্রমবর্ধমান ভাবে সাম্রাজ্যবাদের অধীনস্থ শরিকে পরিণত হচ্ছে। পরবর্তী ঘটনাবলী স্পষ্টই তা প্রমাণ করেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাবগুলিতেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। 
পলিট ব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির এইসব রিপোর্টে দেখানো হয়েছে কোভিড মহামারীজনিত জনগণের কাজকর্মের ওপরে বিধিনিষেধ ও লকডাউন ব্যবহার করে আরএসএস/বিজেপি/মোদী সরকার কীভাবে ভারতের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের এক সামগ্রিক আগ্রাসন নামিয়ে এনেছে। নয়া উদারনীতির সংস্কারের আগ্রাসী অভিযান— বিপুল বেসরকারীকরণ, জাতীয় সম্পদের লুঠ, কৃষিকে বন্ধক দেওয়া নতুন কৃষি আইন, শ্রমিকশ্রেণি, কেৃষক, শ্রমজীবী মানুষের ওপরে ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে ভয়ঙ্কর তীব্র করা হয়েছে, মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বিরোধিতাকেই ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করে দানবীয় আইনে বিপুল পরিমাণ মানুষকে আটক করা হচ্ছে। নাগরিক অধিকার, মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপরে আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই পরিকল্পিত আক্রমণকে রুখতে হবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সমবেত করেই। 
এই কাজ করতে হলে বুঝতে হবে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং নয়া উদারনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম কোনো পৃথক ক্ষেত্র নয়, দেশের রক্ষা ও শ্রমজীবী জনগণের স্বারডথকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য একই অবিচ্ছেদ্য লড়াইয়ের অংশ। আজকের প্রেক্ষিতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম ভারতীয় সংবিধানকে রক্ষার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, সংবিধান যে গ্যারান্টি দিয়েছে তা যাতে সুরক্ষিত থাকে, বাস্তবায়িত হয়। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকীতে ভারত ও শ্রমজীবী জনতার সুরক্ষার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ উচ্চারণের সময়। 
এই লড়াই কটইন। মোদী সরকার ভারতকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আজ্ঞাবহতে পরিণত করছে। এই বহুমুখী চ্যালঞ্জের মোকাবিলা ও এই শক্তিকে পরাস্ত করা বৈপ্লবিক লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পথে আজকের কর্তব্য।
 

Comments :0

Login to leave a comment