Jharkhand election result

বিভাজন ঠেকিয়ে সরকার রাখল ঝাড়খণ্ড-জেএমএম জোট

জাতীয়

বিজেপি'র মুখ থুবড়ে পড়লো ঝাড়খণ্ডে। সকাল থেকে একের পর এক রাউন্ড গণনার প্রবণতা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল রাজ্যে বিজেপি খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। দিনের শেষে বোঝা যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়বে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি বর্জন করেছে ঝাড়খণ্ডের মানুষ। 
সন্ধ্যা ৬ টার সময় নির্বাচন কমিশনের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিজেপি পেয়েছে ৩৩.৩০ শতাংশ ভোট ।  জেএমএম- কংগ্রেস জোট পেয়েছে মোট ৩৮.৭০ শতাংশ ভোট। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১ আসন। 
সন্ধ্যে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ২০ টি আসনে জয়লাভ করেছে এবং ১৪ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি ও ৯ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস এবং ৬ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি ১ টি আসনে জয়লাভ করেছ ৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ইতিমধ্যে ২ টি আসনে জয় লাভ করেছে। ফলে, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট জয়ী এবং এগিয়ে ৫৫ আসনে। পঞ্চাশের ওপর আসন প্রায় নিশ্চিত করেছে কংগ্রেস জোট। 
ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তীব্র বিভাজন ছড়ানোর কৌশল নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব বারবার বিভিন্ন জনসভায় মুসলিমদের লক্ষ্য করে ‘বহিরাগত’এবং‘অনুপ্রবেশকারী’বলে আক্রমণ করেছেন। আদিবাসী ভোটারদের মন জয় করার জন্য অমিত শাহ সরাসরি ঘোষণাও করেছিলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থেকে আদিবাসীদের বাইরে রাখা হবে। কিন্তু তাতেও বরফ গললো না। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন বলেছিলেন, "বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরছে।’’ 
বিজেপি মুসলিমদেরআক্রমণের কেন্দ্রে রেখে হিন্দু ভোট ব্যাংকে সুরক্ষিত করতে নেমেছিল। কিন্তু এই মেরুকরণ কাজ করেনি। বিজেপি স্লোগান দিয়েছিল ‘বেটি মাটি রোটি’ বিপদে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। কিন্তু উল্টোদিকে ঝাড়খণ্ডের বিস্তর বনাঞ্চলের অধিকার থেকে আদিবাসীদের বঞ্চিত করে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি। আদিবাসী বনাম মুসলিম সমীকরণ ভোটের আগে সামনে এনেও জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেনকে ঠেকানো যায়নি। 
সোরেনই এই নির্বাচনে জোটের প্রধান মুখ ছিলেন। তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। জনকল্যাণের একাধিক প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন। তার সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদ বিরোধী রাজনীতির মিশেল রেখেছিলেন প্রচারে।

Comments :0

Login to leave a comment