TMC INFIGHITING

কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের
দুই বিধায়ক, তুঙ্গে তরজা

রাজ্য

TMC INFIGHITING বিক্ষোভের ছবি।

'‘পথশ্রী’ প্রকল্পের রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দলেরই দুই বিধায়ক। মিনাখাঁর চেয়ারম্যান, বিধায়ক ও অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। যা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। 

কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অশোকনগরের বিধায়ক। স্থানীয় সূত্রের খবর, শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলিসাদি মন্দির থেকে তালবেড়িয়া ব্রিজ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার পিচের রাস্তার উদ্বোধনের ব্যানার টাঙানো হয়। সেই ব্যানারে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া রয়েছে। 

অভিযোগ, এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের খবর হাড়োয়া দু'নম্বর ব্লকের সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত প্রধান কেউ কিছু জানেন না। তাই কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অশোকনগরের  বিধায়কের কাছে বিষয়টি জানতে যায়। 

অভিযোগ, সেই সময় মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারাণী মন্ডল ও চেয়ারম্যানের অনুগামীরা তৃণমূল কর্মীদের ‘বিজেপি’র লোক’ বলেন। শালীপুর অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অশোকনগরের বিধায়কের উপরে চড়াও হয় একাংশ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে কর্মীদের কোন উত্তর না দিয়ে বিধায়ক কার্যত পালিয়ে যান। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ এটা তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরো তীব্র হয়ে উঠবে। মিনাখাঁ বিধায়কের অনুগামীরা কাটমানি খেয়ে এই রাস্তা তৈরি করছিল। অপর গোষ্ঠী প্রতিবাদ করতে গেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। 

অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে ফোন করা হলে তিনি জানান কোন বিক্ষোভ হয়নি।  তিনি সরকারি প্রকল্পের রাস্তা উদ্বোধন করতে গেছিলেন সেই সময় কিছু দলীয় কর্মী পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তার কাছে সাংগঠনিক আলোচনা করতে যান। তিনি সেটা মানেন নি তাই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের আহ্বায়ক আহাদ আলি মোল্লা বলেন অশোকনগরের বিধায়ক শালিপুর অঞ্চলে পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা উদ্বোধন করতে আসেন। সেখানে ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ কেউ উপস্থিত ছিলেন না।  তাই কর্মীরা যখন জানতে যায় তখন তাঁদের বিজেপি বলা হয়। তাতেই কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।  এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন তা তিনি স্বীকার করে নেন।

Comments :0

Login to leave a comment